এবার জেলের রুটি খাওয়ার সুযোগ পাবেন সকলেই
জেলে বন্দিদের জন্য জেলেই তৈরি হয় খাবার। যে তালিকায় অন্য নানা খাবার থাকলেও জেলের রুটি একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। এবার তা খেতে পারবেন সকলেই।
জেলে বন্দিদের খাবার জেলেই তৈরি করা হয়। যা সাধারণত তৈরি করে জেলবন্দিদের একাংশই। যারা রান্নাবান্নায় পারদর্শী তেমন জেলবন্দিদের বেছে নিয়ে তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেলে নানা খাবার পরিবেশন করা হয় জেলবন্দিদের। তবে জেলের রুটি একটা প্রবাদ। হিন্দি ভাষাভাষী মানুষজন তো কাউকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার হলে তাঁকে জেল কি রোটি খাওয়ানোর ভয় দেখান। সেই জেলের বিখ্যাত রুটি এবার জেলের সুউচ্চ পাঁচিল পার করে বাইরে আসতে চলেছে।
উত্তরপ্রদেশের জেল আধিকারিকরা একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন। তাঁরা জেলের তৈরি খাবার এবার বাইরে একটি বিক্রয়স্থল তৈরি করে সেখান থেকে বিক্রি করতে চলেছেন।
সেখান থেকে জেলের বন্দিদের তৈরি করা খাবারই বিক্রি করা হবে। যে কেউ সেখান থেকে খাবার কিনতে পারবেন। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার থেকে রুটি সবই বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই আউটলেটের জন্য খাবার তৈরির পাঠ বিখ্যাত এক রন্ধনশিল্পী রণবীর ব্রার-কে দিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলের রাঁধুনিদের।
এই খাবারের চাহিদা যদি বেড়ে যায় তাহলে তা খতিয়ে দেখে সেইমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রান্নার জন্য ব্যবহার হবে সেরা মানের জিনিসপত্র।
মশলা ইত্যাদি তৈরি করবে উত্তরপ্রদেশের আইএএস আধিকারিকদের স্ত্রীদের তৈরি সংগঠন ‘আকাঙ্ক্ষা’। এই আউটলেট থেকে খাবার বিক্রি করে যে লাভ হবে তা জেলের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা