এই আমের সামনে কুপোকাত বিখ্যাত দশেরি, চৌসা, আলফানসো
এ এমন এক আম যার নাম বড় একটা বহুল পরিচিত নয়। কিন্তু এর সামনে দাঁড়াতেও পারেনা দশেরি, চৌসা, ল্যাংড়া, আলফানসোর মত নামীদামী আম।
আমের বিভিন্ন ধরণ ভারতের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে আছে। এক এক জায়গায় এক এক আম বিখ্যাত। যেমন পশ্চিমবঙ্গের হিমসাগরের নাম জগতজোড়া, তেমনই উত্তরপ্রদেশের চৌসা, দশেরি, ল্যাংড়া বিখ্যাত। আবার মহারাষ্ট্রের আলফানসো বিখ্যাত।
উত্তরপ্রদেশের আম হিসাবে চৌসা, দশেরি, ল্যাংড়া বাজার মাতালেও এদের হেলায় হারাতে পারে ওই রাজ্যেরই এক আম। যার স্বাদ, গন্ধ তো সেরা বটেই, সেইসঙ্গে চৌসা বা দশেরিদের চেয়ে এর দামও অনেকটাই বেশি।
২০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয় এই আম। যা বিক্রি হয়ে যায় একেবারে আমবাগান থেকেই। সেখান থেকেই চড়া দামে বিক্রেতারা কিনে নেন এই আম। কারণ এই আম পড়ে থাকেনা। ক্রেতারা এই আমের জন্য যেকোনও মূল্য দিতে পিছপা হন না।
উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের বিখ্যাত এই আম হল গৌরজীত। গৌরজীত আম সবচেয়ে ভাল হয় গোরক্ষপুর ও বাস্তিতে। খুব নাম জানা না হলেও স্থানীয়রা এই আমের কদর বোঝেন।
তাই গোরক্ষপুর, বাস্তি, মহারাজগঞ্জ, কুশিনগর, দেওরিয়া, সিদ্ধার্থনগর, সন্ত কবির নগর জুড়ে দাপটে বিক্রি হয় গৌরজীত। গৌরজীত সামনে পেলে কেউই আর চৌসা, দশেরি, ল্যাংড়ার দিকে ফিরে তাকান না এখানে।
আপাতত ৬ হাজার হেক্টর জমিতে এই আমের চাষ হয়। গোরক্ষপুর ও বাস্তির মধ্যেই এই গৌরজীত আমের বাগান রয়েছে।
গৌরজীত আম কেনা সামাজিক প্রতিপত্তিরও নিদর্শন। এই আম এখানকার স্থানীয়রা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাসকারী তাঁদের আত্মীয় বন্ধুদের পাঠিয়ে থাকেন উপহার হিসাবে।
প্রসঙ্গত গৌরজীত আম উত্তরপ্রদেশে ভাল হলেও তা বিহারের কিছু জায়গাতেও ফলে। তবে সেখানে তার নাম অন্য। বিহারে এই গৌরজীত আম বিখ্যাত জারদালু ও মিঠুয়া নামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা