বেড়ানোর নতুন ঠিকানা তৈরি করল পূর্ণিমার গোল চাঁদ
কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। এই ঘুরতে পছন্দ করা মানুষজনের জন্য ফের এল সুখবর। এবার পূর্ণিমার চাঁদ দিল বেড়ানোর নতুন ঠিকানা।
আগেই শুরু হয়েছিল মহাকাশ পর্যটন। মহাকাশের দিকে রাতের অন্ধকারে তাকিয়ে দেখা আর তা বুঝে তারাদের চিনে তাকিয়ে দেখার মধ্যে অনেক ফারাক। তা চিনতে পারলে আকাশকে নতুন রূপে দেখতে পাওয়া যায়।
সে পর্যটন আগেই শুরু হয়েছিল। এবার পর্যটনে আরও জোর দিতে মরুরাজ্যে শুরু হতে হতে চলেছে পর্যটকদের জন্য অন্য এক আকর্ষণ। যার নাম দেওয়া হয়েছে পূর্ণিমা পর্যটন বা ফুল মুন ট্যুরিজম।
পূর্ণিমা পর্যটনে এবার পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে এমন সব গ্রামে যেখানে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ। নিয়ে যাওয়া হবে পূর্ণিমার দিনে এবং তার আশপাশের দিনে।
এই সময় রাতের আকাশ যেখানে চারিদিকে দিগন্ত ছুঁয়েছে সেখানে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে উঠবে অপরূপা সুন্দরী। শহরে বসে পূর্ণিমা দেখা আর এমন নিস্তব্ধ চারিদিক ফাঁকা এক প্রান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমার জ্যোৎস্নাকে উপভোগ করা এক অন্যই প্রাপ্তি।
পূর্ণিমার চাঁদের সেই চিরদিন মনে থেকে যাওয়া রোশনাই দেখানোর পাশাপাশি পর্যটকদের রাতের আকাশও দেখানো হবে পূর্ণিমা পর্যটনে।
এখানে কাজে লাগানো হবে আগেই চালু হওয়া রাতের মহাকাশ দর্শনের পরিকাঠামোকে। যাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের পূর্ণিমার রাতের আকাশকে নতুন করে চিনিয়ে দেবেন বিশেষজ্ঞেরা।
চাঁদকে যেমন শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যটকরা অনেক কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন, তেমনই অন্যান্য তারাদেরও চিনিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের। টেলিস্কোপে চোখ রেখে সেসব তারাদের আরও স্পষ্ট করে দেখতে পাবেন পর্যটকেরা।
ইতিমধ্যেই রাজস্থান পর্যটন দফতর রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের সহযোগিতায় এই পূর্ণিমা পর্যটন চালু করার বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। ফলে অচিরেই শুরু হতে পারে এই বেড়ানোর নতুন ঠিকানা।
সামনে শীতকাল। এ সময় রাতের আকাশকে আরও পরিস্কার করে দেখতে পাবেন সকলে, যদি না কুয়াশার চাদর থাকে। আর তা না থাকলে এই পূর্ণিমা পর্যটন পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণই তৈরি করবেনা, হয়তো মাসের হাতে গোনা দিনের এই পর্যটনে আগাম বুকিংয়ের চাপও প্রবল ভাবে আছড়ে পড়বে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা