ব্রেকফাস্ট না করা মানে একাধিক ক্ষতিকে হাতছানি দিয়ে ডেকে আনা
ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস অনেকের আছে। নয়তো ব্রেকফাস্ট বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পর অনেকে করে থাকেন। কত বড় যে ভুল এটি তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট বা প্রাতরাশ না করার অভ্যাস অনেকের আছে। তাঁরা হয় ঘুম থেকে ওঠার কয়েক ঘণ্টা পর খাবার মুখে দেন। আবার অনেকে কাজে বার হওয়ার তাড়ায় ব্রেকফাস্ট করার সময় পান না।
এভাবে ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া কিন্তু একের পর এক সমস্যার কারণ হয়। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন ব্রেকফাস্ট করতেই হবে। তাও আবার ভারী ব্রেকফাস্ট। না হলে কি কি ধরনের বিপদ হতে পারে তাও জানিয়েছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ব্রেকফাস্ট হল এক বিশাল সময় না খেয়ে থাকার পর মানুষের খাবার খাওয়া। ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সময় মানুষ না খেয়ে থাকেন রাতে। রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পর ঘুম। তারপর সকালে উঠে ফের ব্রেকফাস্ট। তার মাঝে খাওয়া নেই।
এই বিশাল সময় না খেয়ে থাকার পর মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ, পুষ্টি ফিরিয়ে দেয় ব্রেকফাস্ট। কারণ রাতের খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা পর মানুষ সাধারণভাবে ঘুমোতে যান। তাপর ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্টে খেতে খেতে আরও ১ ঘণ্টা কেটেই যায়।
সব মিলিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা শরীর তখন পুষ্টি ফিরে পেতে চায়। তাই ভারী ব্রেকফাস্ট আবশ্যিক। তাও ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নয়।
ব্রেকফাস্ট সঠিক পরিমাণে করলে সারাদিনে মানুষের যখন তখন খিদেও পায়না। আবার অনেকের স্থূল বা মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। তাঁদের এই মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়বে যদি সঠিক পরিমাণে এবং নিয়মিত ব্রেকফাস্ট না হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাওয়াটাই হল ব্রেকফাস্ট। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা