সব পোশাক খুলে দাঁড়াও, শরীরের মাপ নিতে হবে, আজও সেই স্মৃতি পিছু তাড়া করে
সেদিন তাঁর শরীরের মাপ নেওয়ার অছিলায় তাঁকে সম্পূর্ণ অনাবৃত করতে চেয়েছিল তারা। সেদিনের সেই স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে।
মডেলিংকে পেশা হিসাবে নেওয়ার ইচ্ছেটা কম বয়স থেকেই ছিল। সেবার জাপানের একটি মডেলিং এজেন্সির কাছে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ১৬ বছর।
তখন সেল ফোন ছিলনা। অনেক খুঁজে তিনি সেখানে পৌঁছন। তাঁকে দেখার পর তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁর শরীরের মাপ নেওয়া দরকার বলে জানায় এজেন্সির কয়েকজন।
তিনি তাদের জানান শরীরের মাপজোক তো আগেই তাদের দেওয়া আছে। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। বরং সাফ জানায় তাঁকে সম্পূর্ণ অনাবৃত হয়ে তাদের সামনে দাঁড়াতে হবে। তারা তাঁর শরীরের মাপ নেবে।
এক্ষেত্রে সুরটা আবেদনের ছিলনা। জিজ্ঞেস করা হয়নি যে তিনি কি শরীরের মাপ দিতে শরীরের সব পোশাক খুলতে আদৌ রাজি আছেন? বরং তাঁকে কার্যত নির্দেশ দেওয়া হয় সব পোশাক দ্রুত খুলে ফেলে সম্পূর্ণ অনাবৃত হতে।
সেদিন তা মেনে নিতে পারেননি তিনি। বেরিয়ে আসেন সেখান থেকে। তারপর মাকে ফোন করেন। মা তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব ওই জায়গা ছাড়ার পরামর্শ দেন।
বিশ্বখ্যাত সুপারমডেল লিন্ডা ইভানজেলিস্টা নিজের সেই স্মৃতির কথা এবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। কানাডার এই সুপারমডেল জীবনে বিশ্বের প্রথমসারির ৬০টি ফ্যাশন ম্যাগাজিনে কভার হয়েছেন। এখন এই ৫৭ বছর বয়সেও তিনি বিশ্বখ্যাত একটা নাম।
মডেলিং জগতে লিন্ডা ইভানজেলিস্টার উত্থান শুরু হয় ৯০-এর দশকে। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে আজও লিন্ডার জীবনের শুরুর সেই দুঃস্বপ্নের মত স্মৃতি পিছু ছাড়ে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা