দেশের এই হ্রদের কাছে গেলে অজানা কারণে গুলিয়ে যায় দিক
দিক নির্ণয়ের জন্য বহুকাল ধরেই মানুষ কম্পাসের ওপর নির্ভর করেন। দেশে এমন এক হ্রদ রয়েছে যেখানে গেলে সেই কম্পাস কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
ভারতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা আজও রহস্যে মোড়া। তারই একটি লোনার হ্রদ। মহারাষ্ট্রের এই লোনার হ্রদ হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নোনা জলের হ্রদ। এই লোনার হ্রদ তৈরি হয়েছিল এক উল্কাপাতের জেরে। যা আবিষ্কার হওয়ার পর এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
এখনও বহু পর্যটক মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় অবস্থিত এই উল্কাপাতে তৈরি অতিকায় গর্তে ভরা জল দেখতে হাজির হন। লোনার লেক আদপে কোনও হ্রদ ছিলনা।
মনে করা হয় ৫২ হাজার বছর আগে এখানে একটি উল্কাখণ্ড এসে আছড়ে পড়ে। যার জেরে এক অতিকায় গর্ত তৈরি হয়। সেই গর্ত ক্রমে জলে ভরে ওঠে। তৈরি হয় লোনার লেক। যা এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
সমুদ্রের কাছে না হলেও লোনার হ্রদের জল কিন্তু বেশ নোনতা। এই হ্রদের জলে সোডিয়াম কার্বোনেটের পরিমাণ বেশি থাকায় জল এতটা নোনতা।
লোনার হ্রদের সবচেয়ে বড় রহস্য হল এখানে এসে কেউ যদি কম্পাসে দিক নির্ণয় করার চেষ্টা করেন তাহলে তার উপায় নেই। কারণ এখানে কম্পাস কাজ করেনা।
কেন করেনা? এর উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে তা রহস্যই রয়ে গেছে। এর সঙ্গে মহাজাগতিক কোনও রহস্যের যোগ রয়েছে কিনা তাও পরিস্কার নয়।
তবে এখানে এলে কম্পাস কাজ করেনা। লোনার লেকটি প্রায় গোলাকার। জল টলটল করছে। চারপাশও সুন্দর। ফলে এটি অচিরেই একটি পর্যটনস্থল হয়ে উঠেছে।