২০ বছরের ভাইঝি সেলিন ডোকরানকে অপহরণ করেছিল লন্ডনের মুজাহিদ আরশিদ। শুধু ভাইঝি নয়। অপহরণ করা হয় ভাইঝির এক বান্ধবীকেও। তারপর সহকর্মীর সঙ্গে মিলে ভাইঝিকে ধর্ষণ করে আরশিদ। তাতেও আশ মেটেনি কাকার। এরপর ভাইঝিকে খুন করে তার দেহ লুকিয়ে রাখে ফ্রিজের ভিতর, যাতে কুকীর্তির কথা কাকপক্ষীতেও টের না পায়। যদিও প্রথমে পরিকল্পনা ছিল ভাইঝির মৃতদেহ অ্যাসিডে ফেলা হবে। যাতে তার দেহের কোনও চিহ্নমাত্র খুঁজে না পাওয়া যায়। তবে পরে মত বদলে ফ্রিজের ভিতর দেহ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সেলিনের কাকা আরশিদ।
একইভাবে ধর্ষণ করা হয় সেলিনের বান্ধবীকেও। সেলিনের মতই কেটে ফেলা হয় তাঁর গলা। তারপর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় আরশিদ ও তার শাগরেদ। কিন্তু সেলিনের বান্ধবীর গলা কাটলেও ক্ষত গভীর ছিল না। তাই একসময় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছে যান মৃত সেলিনের বান্ধবী। তিনিই পরে খবর দেন পুলিশকে। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। সেলিন অন্য এক পুরুষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই নিয়েই কাকা আরশিদের মনে ক্ষোভ জমেছিল বলে অনুমান পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের আরও অনুমান, সেলিন যদি তার হাতে না আসে তো অন্য কোনও পুরুষের হাতেও তাঁকে যেতে দেবে না বলে ঠিক করেছিল বিকৃতকাম কাকা আরশিদ।
তদন্তে নেমে লন্ডনের ফোকস্টোন থেকে অভিযুক্ত ও তার সহকর্মী ভিনসেন্ট তাপ্পুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিহরণ জাগানো সেই হত্যাকাণ্ডের ভয়ংকর দিনের বিবরণ দিতে গিয়ে আদালতে কেঁপে উঠছিলেন মৃতার বান্ধবী। যদিও তাঁর দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত আরশিদ ও তার বন্ধু।