সহ-পাইলট অর্ধেক জানেন, ৩০০ যাত্রী নিয়ে ফের বিমানবন্দরে ফিরল বিমান
বিমান তখন আকাশে। বিমানবন্দর থেকে যাত্রার পর ৪০ মিনিট কেটেও গেছে। হঠাৎই যাত্রীরা জানতে পারলেন তাঁদের বিমান ফের যেখান থেকে উড়েছিল সেখানে ফেরত যাচ্ছে।
বিমান যখন আকাশে ওড়ে তখন সব ঠিকই ছিল। সঠিক সময়ে আকাশে ওড়ার পর যাত্রীরা যে যার মত সময় কাটাচ্ছিলেন। ৪০ মিনিট ওড়াও হয়ে গিয়েছিল। এমন সময় তাঁরা জানতে পারেন যে মুখ ঘোরাচ্ছে বিমান। ফেরত যাচ্ছে যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সেই বিমানবন্দরে। কিন্তু কেন?
প্রতিকূল আবহাওয়া? যান্ত্রিক সমস্যা? নাকি অন্য কিছু? উত্তর মিলল। বিমানবন্দরে ফিরে যাত্রীরা জানতে পারলেন যে সমস্যা ছিল ককপিটে।
পাইলটের সঙ্গে থাকেন সহ-পাইলট। যাঁর কাজ পাইলটকে উড়ানে সাহায্য করা, এটিএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, বিমানের সুরক্ষার দিকে নজর রাখা এবং প্রয়োজন পড়লে বিমান চালানো। কিন্তু যে কো-পাইলট বিমানে ছিলেন তিনি এখনও পাইলট হওয়ার পরীক্ষা পাশ করেননি। এখনও তিনি শিক্ষানবিশ।
একজন শিক্ষানবিশ কো-পাইলট নিয়ে ব্রিটেনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে ভার্জিন জেটের এই বিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের দিকে উড়ল কীভাবে?
পুরো ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে বিমান সংস্থা। তারা যাত্রীদের জানায়, তারা কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। বিমান ওড়ার পর তারা জানতে পারে যে কো-পাইলট এখনও পাইলট হওয়ার যোগ্যতা পরীক্ষা পাশ করেননি। এই অবস্থায় এতজন যাত্রীর জীবনের ঝুঁকি তারা নিতে চায়নি। পুরো ঘটনা কীভাবে ঘটল তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানায় সংস্থা।
হিথরোয় ফেরার পর ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। তারপর এক সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত কো-পাইলটকে নিয়ে বিমান রওনা দেয় নিউইয়র্কের দিকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা