চাকরি পাচ্ছেন না বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের পিএইচডি, ভুগছেন অবসাদে
বিশ্বের অন্যতম সেরা ও পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় কেমব্রিজ। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে পিএইচডি করা মানে তাঁর মেধা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনা। তিনিও পাচ্ছেন না চাকরি।

চাকরি ক্রমশ কমছে। আর তা বিশ্বজুড়েই। এমনটা ফের প্রমাণ হল। এটা বলা হয়ে থাকে যে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চাকরির অভাব হয়না। তাঁদের পড়াশোনার সার্বিক চিত্রই তাঁদের সমমর্যাদার চাকরি পাওয়ার পথ করে দেয়। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা কি আদৌ সেটাই?
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে পিএইচডি করেছেন মারিকা নিহোরি। এই তরুণীর মেধা সম্বন্ধে তাই প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাই সবকিছু বলে দিচ্ছে। এই বিরল শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মারিকা রীতিমত অবসাদগ্রস্ত।
হবেন নাই বা কেন? বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে পিএইচডি করে তিনি একটি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে খাপ খায় এমন চাকরির আশা করেছিলেন। সেজন্য একটি একটি করে বিভিন্ন জায়গায় আবেদনও করেন।
প্রথমে তাঁর হয়তো মনে হয়েছিল তাঁর যা শিক্ষাগত যোগ্যতা তাতে তাঁকে লুফে নেওয়া হবে চাকরির জগতে। কিন্তু বাস্তবটা তাঁর সামনে পরিস্কার হতে বেশি সময় নেয়নি। ইতিমধ্যেই ৭০টি জায়গা থেকে তাঁর চাকরির আবেদন নাকচ করা হয়েছে।
৭০টি জায়গা থেকে না শোনার পর এখন এই মেধাবী তরুণী ক্রমশ ভেঙে পড়ছেন। নিজের এই যন্ত্রণার কথা তিনি সমাজ মাধ্যমে তুলেও ধরেছেন। আর তা সমাজ মাধ্যমে সামনে আসার পর বিশ্বের নানা প্রান্তের সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। ফলে বহু মানুষ বিষয়টি জেনেছেন।
চাকরির দুনিয়ার হাল দেখে তাঁরা কেবল মারিকার জন্যই দুঃখিত নন, নিজেদের সন্তানদের আগামী দিনে কি হবে তা নিয়েও চিন্তিত। একজন সত্যিকারের মেধাবী ছাত্রীই যদি চাকরি না পান তাহলে তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে তা ভেবে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন অনেকে।