লন্ডনের গ্রেনফিল টাওয়ারের আগুনে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। মোট ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি। মর্মান্তিকভাবে এখনও বেশ কয়েকজনের খবর নেই। তারমধ্যে একটি পরিবারের ছ’মাসের শিশুসন্তান সহ বাবা-মার কোনও খোঁজ নেই। প্রশাসনের তরফে মনে করা হচ্ছে, বাড়িটিতে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের মত আর কেউ নেই। তবে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হলে আরও বেশ কিছু দেহ উদ্ধার হতে পারে। কারণ দমকল কর্তারা এখনও পরিস্কার নন যে কতজন এখনও বাড়ির মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন সদস্য মনে করছেন এটা হওয়ারই ছিল। কবে এই বাড়িটিতে আগুন লাগবে তার অপেক্ষা চলছিল। লেবার পার্টির সাংসদ ডেভিড ল্যামি এই ঘটনাকে কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড বলে ব্যাখ্যা করেছেন। গ্রেনফিল টাওয়ারে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইতিমধ্যেই ১ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থও সংগ্রহ করেছে তারা। এদিকে পোড়া বাড়িটির কাছেই একটি অস্থায়ী দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বহু মানুষ তাঁদের সমবেদনা জানিয়ে যাচ্ছেন।