২টি দেশের ১টিই গ্রাম, এক দেশে খাওয়া সেরে অন্য দেশে শোওয়া
গল্পের মত শোনালেও এটাই সত্যি। একটি এমন গ্রাম রয়েছে যেখানকার বাসিন্দারা ২ দেশে অবাধে বিচরণ করেন। তাও দস্তুরমত আইনি অধিকার নিয়ে।
ভারতে এমন একটা গ্রাম রয়েছে যেখানকার বাসিন্দারা ভারত ছাড়াও অন্য একটি দেশের নাগরিক। তাঁরা মায়ানমারের নাগরিক। ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে এমনই একটি গ্রাম লোঙ্গা। যে সীমান্তরেখা টানা রয়েছে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ঠিক সেখানেই রয়েছে এই গ্রামটি।
গ্রামের একটা অংশ পড়েছে ভারতের ভূখণ্ডে, বাকিটা মায়ানমারের ভূখণ্ডে। ফলে এখানকার বাসিন্দারা ২ দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করতে পারেন। ২ দেশে তাঁদের অবাধ বিচরণ।
নাগাল্যান্ডের কোনাক নাগা আদিবাসীদের বাস এই গ্রামে। ৭ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন এখানে। যাঁদের দ্বিনাগরিকত্ব রয়েছে। ভারতের অংশ দিয়ে বয়ে গেছে ২টি নদী তাপি এবং তেগি। অন্যদিকে মায়ানমারের দিক দিয়েও ২টি নদী বয়ে গেছে।
সীমান্তের এই গ্রামে আং নামে এক ব্যক্তির বাড়ির মাঝখান দিয়ে চলে গেছে সীমান্তরেখা। এমনভাবে গেছে যে তাঁর খাবার ঘর ভারতে পড়েছে আর শোওয়ার ঘর পড়েছে মায়ানমারে।
এই গ্রামটির একটি বিশেষত্ব হল এর অপার সৌন্দর্য। চারিদিকে পাহাড়, হ্রদ, অনন্ত সবুজের মাঝে এ যেন এক টুকরো স্বর্গ। ফলে এখানে প্রচুর পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। এক অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই গ্রাম। বাড়তি পাওনা সীমান্তের এই অদ্ভুত দিকটি।
ফলে অনেকে ভারত মায়ানমারের অংশীদারিতে থাকা এই গ্রাম দেখতে ভিড় জমান। অসমের জোরহাট হয়েও এই গ্রামে পৌঁছনো যায়। আবার মন শহরে বিমানে পৌঁছেও এখানে পৌঁছনো সম্ভব। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা