গ্রামের এই বাড়িটিতে যাওয়া মানে একসঙ্গে ২টি দেশে অবস্থান করা
এ এক এমন রাজা যাঁর বাড়িতে যাওয়া মানে সেই সময়কার জন্য ২টি দেশে একসঙ্গে অবস্থান করা। এই গ্রামের সকলেই ২ দেশের নাগরিক।
রাজা মানেই প্রকাণ্ড এক রাজপ্রাসাদে বসবাস করা কোনও রত্নখচিত সিংহাসনে বসা বলশালী ব্যক্তি নন। একটি গ্রামেরও নিজস্ব প্রথায় কেউ রাজা হতে পারেন। ভারতের এই অবাক করা গ্রামে যেমন গ্রাম প্রধানই রাজা। স্থানীয়ভাবে তাঁকে ডাকা হয় আং নামে। আং অর্থাৎ রাজা।
নাগাল্যান্ডের মন জেলায় অবস্থিত এই লোঙ্গা গ্রাম ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে। এই গ্রামের ওপর দিয়ে ২ দেশের সীমান্তরেখা চলে গেছে। এই গ্রামের রীতি হল আং-এর বাড়িটি সেই সীমান্ত রেখার ঠিক ওপরেই হবে।
রাজার বাড়ি সীমান্ত রেখার ওপরই হতে হবে। ফলে রাজা ২ দেশেরই নাগরিক। আর যদি বাইরের কেউ রাজার বাড়িতে নিমন্ত্রিত হন বা রাজার বাড়িতে যান, তাহলে তিনিও ওই বাড়িতে থাকাকালীন ২ দেশেই রয়েছেন। কোনও একটি দেশে নয়।
এই গ্রামে যতজন বাসিন্দা রয়েছেন তাঁরা ভারতের দিকে থাকলেও দ্বিনাগরিকত্ব ভোগ করেন। তাঁরা ভারতেরও নাগরিক আবার মায়ানমারেরও নাগরিক। সেদিক থেকে এ গ্রাম অন্য সব গ্রামের চেয়ে আলাদা।
নাগাল্যান্ডের এই গ্রামটি কিন্তু বেশ বড়। সীমান্তে অবস্থান করায় বহুদিন ধরেই এখানকার রাজার বাড়ি সীমান্ত রেখার ঠিক ওপরে হবে এটাই গ্রামের চিরাচরিত রীতি।
ভারতের সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের সীমান্ত ভাগ করা আছে। ভারতের সঙ্গে তাদের সীমান্ত নির্ধারিত। সেই রেখার ওপর বাড়ি খুব কমই দেখা যায়। যেমন লোঙ্গা গ্রামের রাজার বাড়ি।