জিভে জল আনা ঝিনুকই যত নষ্টের মূল, খাবেন না ফেলে দিন, বলছে প্রশাসন
এ খাবার কাঁচাই খেতে হয়। তাতেই আসল স্বাদ আহরণ করা যায়। কিন্তু প্রশাসন এখন সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে। ফেলে দিতে অনুরোধ করছে সকলকে।
অনেকেই সিনেমার পর্দায় এ খাবার চাক্ষুষ করেছেন। বিদেশে বেড়াতে গিয়ে অনেকে তা চেখেও দেখেছেন। মিস্টার বিন দেখার অভ্যাস থাকলে তার এপিসোডে মিস্টার বিনের সামনেও ডিশে বরফের ওপর এ খাবার সার্ভ করতে দেখা গেছে। নামীদামী রেস্তোরাঁতে এ খাবার বেশ বহুমূল্য খাবারের দলেই পড়ে।
যার পোশাকি নাম অয়েস্টার। বাংলায় যাকে বলে ঝিনুক। তবে ঝিনুক রেঁধে নয়, বরং ঝিনুকের শক্ত খোলের মধ্যে যে মাংসল প্রাণিটি থাকে তা বরফের ওপর রেখে কাঁচা সার্ভ করা হয় বর্ধিষ্ণু সব রেস্তোরাঁয়।
গ্রাহকরা বেশ খুশি মুখ করে সেই ঝিনুকের খোলটি তুলে কাঁচা মাংসল প্রাণিটি মুখে চালান করে দেন। যার ওপরে অনেক সময় কিছু মশলার গুঁড়ো বা হার্বস দেওয়া থাকে।
ঝিনুক কাঁচা খাওয়াটা ইউরোপ ও আমেরিকাবাসীর কাছে বেশ একটা মন ভাল করা খাবার। যা তাঁরা সাধ করে রেস্তোরাঁয় গিয়ে বা বাড়িতে রেস্তোরাঁ থেকে অর্ডার দিয়ে এনে খেয়ে থাকেন।
ঝিনুকের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন জায়গায় এমন ঝিনুকের চাষও হয়। মেক্সিকোর সোনোরায় চাষ হওয়া এমনই বিপুল পরিমাণ ঝিনুক গত ২০২৩ সালে ঢোকে আমেরিকায়। আর সেখানেই নাকি সমস্যা।
লস অ্যাঞ্জেলস পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট হালফিল একের পর এক গ্যাসট্রোইন্টেস্টাইনাল অসুস্থতার খবর পেয়েছে। যার লক্ষ্মণ হল পেট খারাপ, বমি, পেট কামড়ানো, জ্বর এবং সারা গায়ে ব্যথা।
এই নিয়ে অনেক মানুষ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে কাঁচা ঝিনুকের হাত। কারণ এঁরা সকলেই ঝিনুক বা অয়েস্টার খাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ হয়েছেন।
যদিও এটা এখনও নিশ্চিত করে তাঁরা বলতে পারছেন না যে কাঁচা ঝিনুক খাওয়াই দায়ী। কিন্তু তাঁদের জোড়াল অনুমান সেটাই। পরীক্ষার পর সবটা পরিস্কার হবে।
তার আগে সকলকেই কাঁচা ঝিনুক খাওয়া এড়িয়ে চলতে বলেছেন তাঁরা। যাঁরা কিনে ফেলেছেন তাঁদের এটা জেনে নিতে বলা হয়েছে যে সে ঝিনুক মেক্সিকো থেকে আনা সেই ঝিনুকের দলে পড়ে কিনা। যাঁরা ঝিনুক কিনে রেখেছেন খাবেন বলে তাঁদের তা ফেলে দিতেই অনুরোধ করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা