SciTech

রাত নামলেই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ, মহাজাগতিক বিস্ময়ের অপেক্ষায় সকলে

এমন মহাজাগতিক বিস্ময় দেখার সুযোগ এক জীবনে কমই আসে। তেমনই এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী থাকার সুযোগ আসতে চলেছে শুক্রবার রাতে। জুলাইয়ের ২৭ ও ২৮ তারিখ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন এক বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনার। শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছেন তাঁরা। ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে রাতের আকাশে দেখা যাবে ব্লাড মুন। লাল চাঁদের সেই বিরল দৃশ্য কিছুদিন আগেই প্রত্যক্ষ করেছেন অনেকে। গত জানুয়ারির ৩১ তারিখ সুপার ব্লাড ব্লু মুন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁদের। জুলাইয়ের ব্লাড মুন সেই পূর্ণগ্রাসের চেয়েও ৪০ মিনিট বেশি স্থায়ী হবে। যা খাতায় কলমে রেকর্ড হতে চলেছে শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হিসাবে।

ভারতীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণ। চাঁদ ক্রমশ ঢাকা পড়তে থাকবে পৃথিবীর ছায়ায়। রাত ১ পর্যন্ত চলবে চাঁদ ঢাকা পরার এই পর্যায়। অর্থাৎ আংশিক গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস হবে রাত ১টায়। এই পূর্ণগ্রাস স্থায়ী হবে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। এত দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এই শতাব্দীতে আর কখনও হবে না। এই পূর্ণগ্রাস যতক্ষণ বজায় থাকবে ততক্ষণ চাঁদকে লাল দেখতে লাগবে। একেই বলে ব্লাড মুন। পৃথিবীর ছায়ায় রক্তাভ সেই চাঁদ দেখার সুযোগ কমই আসে জীবনে। রাত ২টো ৪৩ মিনিট থেকে ফের পৃথিবীর ছায়া সরতে শুরু করবে চাঁদের চাকতির ওপর থেকে। ক্রমশ ফের প্রকট হতে থাকবে চাঁদ। এভাবে সম্পূর্ণ চাঁদ পৃথিবীর ছায়ামুক্ত হবে ভোর ৩টে ৪৯ মিনিটে।


বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে। অর্থাৎ ২ আমেরিকার মানুষ এই বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবেন। তবে যেখানে দেখা যাবে সেখানেও আকাশ কিন্তু পরিস্কার থাকতে হবে। তবেই মিলবে এই বিরলতম দৃশ্য চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ। কলকাতার আকাশে যেভাবে মেঘের ঘনঘটা হয়ে আছে, তাতে আদৌ এমন এক বিরলতম দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য শহরবাসীর হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button