আশপাশের যত শহর, গ্রাম রয়েছে, আর সেখানে যত মন্দির রয়েছে, সেখান থেকে বিগ্রহদের আনা হয় হিমাচল প্রদেশের মান্ডি শহরে। মহাশিবরাত্রির পরদিন থেকে এখানে বিগ্রহদের এনে শুরু হয় মহাশিবরাত্রি উৎসব। যা চলে ৭ দিন। ইতিহাস বলছে ১৫২৬ সালে মান্ডি শহরের গোড়াপত্তন করেন অজবর সেন নামে এক রাজা। যেহেতু তিনি একটি শহরের গোড়াপত্তন করতে চলেছেন তাই আশপাশের বিভিন্ন মন্দির থেকে বিগ্রহদের নিয়ে আসা হয় এই মান্ডিতে। পরবর্তীকালে তাই এই মান্ডির নাম হয় ‘ছোটি কাশী’। সেই যে একটা ধারা জন্ম নিয়েছিল, তা আজও অম্লান। এখনও মহাশিবরাত্রির পরদিন মান্ডি মেতে ওঠে উৎসবের মেজাজে। সেজে ওঠে শহর।
প্রশাসন বলছে এবার ২১৬টি বিগ্রহ উৎসবে এসেছেন। সারা দেশ সোমবার মহাশিবরাত্রি পালন করেছে। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই উৎসব মান্ডিতে শুরু হল মঙ্গলবার। চলবে আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর এদিন এই উৎসবের সূচনা করেন। উৎসবের শেষ দিনে আসবেন রাজ্যের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত।
উৎসবের এই ৭ দিনের মধ্যে ৩টি শোভাযাত্রা বার হয়। মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন। এদিন বার হয় ‘জালেব’ নামে একটি শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রার পুরোভাগে থাকেন শ্রীবিষ্ণুর দেহধারী ভগবান মাধো রাই। তাঁর পিছনে সুন্দর করে সাজানো পালকিতে থাকেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বিগ্রহরা। এই শোভাযাত্রা গিয়ে শেষ হয় মান্ডির ভূতনাথ মন্দিরে। আরও ২টি শোভাযাত্রা বার হবে। একটি বার হবে আগামী ৮ মার্চ। আর শেষেরটি বার হবে উৎসবের শেষ দিন ১১ মার্চ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)