ভারতের এমন কোনও কোণা নেই যেখানে শিবমন্দির নেই। আসমুদ্র হিমাচলে একের পর এক শিবমন্দির রয়েছে। যার অনেক মন্দিরের জগত জোড়া খ্যাতি। সেখানে শিব ঠাকুরকে একবার দর্শন করতে, তাঁর মাথায় জল ঢালতে দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা হাজির হন। কাশীর বাবা বিশ্বনাথের মন্দির বা কেদারনাথ মন্দিরের মত শিব মন্দিরগুলিতে তো এদিন তিল ধারণের জায়গা নেই। তেমনই আবার তারকেশ্বরে এদিন সকাল থেকেই ভক্তের ঢল নেমেছে।
দীর্ঘ লাইন। ঠায় অপেক্ষা। বেলা বাড়ার পর রোদও চড়া হয়েছে। সেই রোদে টানা দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। তবু মানুষ অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর পুজো দিয়েছেন। কেউ শিবলিঙ্গে ঢেলেছেন দুধ, কেউ ডাবের জল। এর মধ্যে দিয়েই নিজের শ্রদ্ধা, ভক্তি উজাড় করে দিয়েছেন। কেউ এনেছিলেন বেল, কেউ বেল পাতা, আকন্দের মালা, ধুতুরা ফুল, ধুতুরা ফল। দেশজুড়ে এভাবেই এদিন সারাদিন জুড়েই চলেছে শিব পুজো।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ফুলের দোকানে ছিল প্রবল ভিড়। শিব পুজোর প্রয়োজনীয় ফুল তো বটেই, সব ফুলের দামই ছিল চড়া। ভিড় ছিল শিবমন্দিরগুলিতেও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিটি শিবমন্দিরই এদিন সেজে উঠেছিল। স্বনামধন্য মন্দির হোক বা রাস্তার ধারে বা গাছের তলায় তৈরি হওয়া ছোট্ট শিব মন্দির। সর্বত্রই এদিন থালা হাতে পুজো দিয়েছেন ভক্তেরা। হিন্দুদের অন্যতম এই পুজো এদিন কিন্তু অন্য বছরের মতই সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে।