মহালয়া মানেই মহিষাসুরমর্দ্দিনী, ৯০ পার করেও অমলিন
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত ও সুললিত কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর স্তবগাথা, রূপ বর্ণনায় বঙ্গভূমে সৃষ্টি হল এক অপূর্ব অপার্থিব পরিমণ্ডল, যা আজও রয়েছে অমলিন।
ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। এমন রাতভোরে আক্ষরিক অর্থেই বঙ্গবাসীর গণ-জাগরণ বছরে একটাই দিনে হয়। দিনটা মহালয়া। রেডিও বিমুখ বাঙালিকে ভোর ৪টে আচমকাই করে তোলে রেডিওপ্রেমী।
বহুদিনের অনভ্যাস কাটিয়ে চলে রেডিও টিউনিং। কোথায় যেন হয় মহালয়াটা? অবশেষে সন্ধান মেলে। ঘরঘর শব্দে বেজে ওঠে… বাজল তোমার আলোর বেণু! চেনা সুরে সত্যিই মেতে ওঠে ভুবন।
১৯৩১ সালের দেবীপক্ষের ঊষালগ্নের কথা। আকাশ বাতাস অনুরণিত করে শুরু হল ‘আকাশবাণী’র প্রথম প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। বাংলার মানুষের মনে সৃষ্টি করল আলাদা এক অধ্যাত্ম ভাবরস।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত ও সুললিত কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর স্তবগাথা, রূপ বর্ণনায় বঙ্গভূমে সৃষ্টি হল এক অপূর্ব অপার্থিব পরিমণ্ডল, যা আজও রয়েছে অমলিন।
সেই ১৯৩১ সাল থেকে আজও শারদীয়া উৎসবের সূচনা হয় শিশির ভেজা শিউলির মিষ্টি প্রভাতে অনাবিল আনন্দরসের আগমনী বার্তায় ‘বাজল তোমার আলোর বেণু…’