এ দেশেই চলা এই ট্রেনে মাথাপিছু খরচ ২০ লক্ষ টাকা, কি আছে ট্রেনটিতে
কোনও সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে এই সফর। এ ট্রেনে একজনের ভ্রমণ খরচ সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা। কি এমন আছে যার জন্য এত টাকা দিতে হয়?
এ দেশে এলাহিভাবে ট্রেনে সফর করতে চাইলেও তার ভাড়া সর্বোচ্চ কত হতে পারে সে সম্বন্ধে একটা ধারনা কমবেশি অনেকের আছে। তাঁদের কাছেও এই ট্রেনে ভ্রমণ নিছক স্বপ্ন। অথচ বিদেশে নয়, এ দেশেই চলে এই ট্রেন। যা মানুষকে নিয়ে কেবল বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেই দেয়না, পাঁচতারা হোটেলে থাকার সফর অভিজ্ঞতাও দেয়।
ট্রেনটিতে যে প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটের টিকিট কাটা যায় তার খরচ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ৬ রাত্রি ৭ দিনের সফরকাল। ট্রেনটিতে প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটই সবচেয়ে দামি কামরা।
তবে তার নিচেও সফরের সুযোগ রয়েছে। এমনকি ট্যুর প্যাকেজও আলাদা আলাদা রয়েছে। যে প্যাকেজ এবং যে সুইটে যাত্রীরা থাকতে চাইবেন সেই মত ভাড়া গুনতে হবে তাঁদের।
মহারাজাস এক্সপ্রেস হল ভারতের সেই ট্রেন যা ভারতীয় রেলে বিলাসবহুল সফর কোন পর্যায়ে যেতে পারে সে সম্বন্ধে গোটা বিশ্বকে একটা আন্দাজ দিতে পারে। এই ট্রেনে রয়েছে মোট ১৪টি বিলাসবহুল কেবিন। যেগুলি ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা, ডিলাক্স কেবিন, জুনিয়র সুইট, সুইট এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। সবচেয়ে বেশি খরচ প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটের।
পুরো ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে কাঠ এবং অত্যন্ত দামি ফ্লোর টাইলস দিয়ে। পুরো ট্রেনটি এসি। যেদিকেই চাইবেন সেখানেই অতি দামি সব আসবাব নজর কাড়বে। শোওয়া থেকে বসে গল্প করা বা লেখালিখি করা বা টিভি দেখা এবং এমন নানা সুবিধা মানুষকে বিলাস জীবনের চূড়ান্ত অনুভূতি দিতে পারে। খাবার জায়গাটাও রাজকীয়।
ভারতের নিজস্ব শিল্প ও রাজকীয় বিলাসের মিশ্রণ প্রতিটি কোণায় ঝলমল করছে। আধুনিকতা ও রাজকীয় ভারতীয় স্পর্শ মেশা এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে ৬৫ হাজার টাকা দিলেও চলে। সেটাই সবচেয়ে কম দামের টিকিট। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সুবিধায় ভ্রমণ করতে পারবেন। সেটাও নেহাত কম যায়না। একাধিক ট্যুর প্যাকেজ রয়েছে এই ট্রেনে ভ্রমণের জন্য।