বাংলার একটা সাহিত্য যুগের অবসান হল। বৃহস্পতিবার বিকেল সওয়া তিনটেয় প্রয়াত হলেন বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের অন্যতম স্তম্ভ মহাশ্বেতা দেবী। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ২২ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবশেষে সেই লড়াই থামল। ৯১ বছরে চলে গেলেন মহাশ্বেতা দেবী। লোধা থেকে শবর, নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুর, মহাশ্বেতা দেবীর পাশে থাকা, জীবনে চলার পথে সাহিত্য প্রতিভার পাশাপাশি তাঁর সামাজিক লড়াইয়ের সেই পরম্পরা আজীবন মনে রাখবেন মানুষজন। মহাশ্বেতা দেবীর মৃত্যু শুধু বাংলার নয়, ভারতের সাহিত্য জগতের একটা বড় ক্ষতি বলে ট্যুইটে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর এক অভিভাবককে হারালেন বলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্পষ্টভাষী মহাশ্বেতাদেবীর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল বিজয়গড় কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর ক্রমে বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হওয়া। সাহিত্য জীবন। সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি তাঁর অনুবাদও তাঁর লেখনি প্রতিভার সাক্ষর রেখেছে বারবার। জিম করবেটকে বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় করেছিল তাঁর জিম করবেট অমনিবাসের অনুবাদ। জীবনে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৯-এ সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৮৬ সালে পান পদ্মশ্রী। ২০০৬ সালে পদ্ম বিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। সাহিত্য কর্ম ও সামাজিক লড়াইয়ের সেই বর্ণময় জীবনের এদিন পরিসমাপ্তি ঘটল। শেষ হয়ে গেল এক যুগের।