সালটা ১৯৩৪। মে মাস। সেসময়ে বিহারের ভাগলপুরে ভূমিকম্পে বড়সড় ক্ষতি হয়। কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। উদ্ধারকাজ কেমন চলছে তা দেখতে সেখানে হাজির হন মহাত্মা গান্ধী। সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ব্যারিস্টার দীপনারায়ণ সিংয়ের বাড়িতে ওঠেন তিনি। মহাত্মা গান্ধী এসেছেন। তাই তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। সকলেই গান্ধীজিকে একঝলক দেখতে চান। তাঁর অটোগ্রাফ নিতে চান। গান্ধীজি অটোগ্রাফ দিতে রাজি হন। তবে তাঁর শর্ত ছিল অটোগ্রাফ প্রতি তাঁকে ৫ টাকা করে দিতে হবে। তবেই মিলবে অটোগ্রাফ।
গান্ধীজি ৫ টাকার বিনিময়ে সেই অটোগ্রাফ বিলিয়েছিলেন সেদিন। আর এই ৫ টাকা করে যত টাকা সংগ্রহ হয়েছিল তা দিয়েছিলেন ভূমিকম্পের ত্রাণে। দীপনারায়ণ সিংয়ের যে বাড়িতে সে সময় গান্ধীজি উঠেছিলেন সেই বাড়ি স্বাধীনতার পর সরকারকে দান করেন দীপনারায়ণ। ওই বাড়িতে যেহেতু গান্ধীজি থেকেছিলেন তাই সেটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বাড়িটিকে ভাগলপুরের জেলাশাসকের বাসভবন করে দেওয়া হয়।
গান্ধীজি বিহারের ভাগলপুরে সেবার প্রথম যাননি। তার আগেও অনেকবার ভাগলপুরে হাজির হন তিনি। ১৯১৭ সালে গিয়েছিলেন ছাত্র সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে। ১৯২০ সালে ফের যান তিলহা কোঠি-র একটি সম্মেলনে হাজির হতে। ১৯২৫ সালের ২ অক্টোবর তাঁর জন্মদিনও পালন হয় ভাগলপুরে। সেখানে সেদিন তিনি উপস্থিত ছিলেন। কমলেশ্বরী সহায়ের শিব ভবন নামে বাসগৃহে তিনি ছিলেন। সেখানেই সকলে মিলে তাঁর সঙ্গে তাঁর জন্মদিন পালন করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা