‘জৈন’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘জিন’ শব্দ থেকে। পার্থিব আসক্তি ও ষড়রিপুকে জয় করে যে ব্যক্তি পবিত্র অনন্ত জ্ঞান লাভ করেছেন, তিনিই ‘জিন’। ‘জিন’-দের প্রচারিত পথের অনুগামীদের ‘জৈন’ বলা হয়। জৈনদের অন্যতম পথনির্দেশক এই ধর্মের ২৪ তম তথা শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর। খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ৫৪০ অব্দে উত্তর বিহারের বৈশালীর কুন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বর্ধমান ওরফে মহাবীর। মহাবীরের পিতার নাম সিদ্ধার্থ ও মা ত্রিশলা। কঠোর সাধনা ও আত্মত্যাগের জন্য বর্ধমান হয়ে ওঠেন ‘মহাবীর’। মহাবীর জয়ন্তীর দিন দেশ, বিদেশে ছড়িয়ে থাকা জৈন ধর্মাবলম্বী মানুষ মন্দিরে গিয়ে আরাধনা করেন। উপাসনার পাশাপাশি চলে জৈনদের নিজস্ব ধর্মের মন্ত্রোচ্চারণ।
এদিন বেলার দিকে মহাবীরের মূর্তি ও সুসজ্জিত রথ নিয়ে শোভাযাত্রা করেন জৈন ধর্মাবলম্বীরা। সারাদিন প্রার্থনা, প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে তীর্থঙ্কর মহাবীরের জন্মদিনটি পালিত হয়। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। শহরের মূলত ২টি জৈন মন্দির বিখ্যাত। বেলগাছিয়ার পরেশনাথের মন্দির এবং উত্তর কলকাতার গৌরীবাড়িতে গায়ে গায়ে লাগোয়া মন্দির। এমন শুভ পবিত্র দিবস উপলক্ষে মহাবীরের প্রেম ও সংহতির আদর্শকে সামনে রেখে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মহাবীরের অহিংসা ও সহমর্মিতার বাণীর ভিত্তিতে ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।