২ হাজার কালো কড়কনাথের অর্ডার দিলেন ধোনি
আইপিএল শেষ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। এবার ২ হাজার পিস কালো কড়কনাথ-এর অর্ডার দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তী মহেন্দ্র সিং ধোনি।
ভোপাল : ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির আড়ালে লুকিয়ে আছে এক ব্যবসায়ী মন। এর আগেও ব্যবসার প্রতি ধোনির ঝোঁক নজর কেড়েছে। এবার আইপিএল শেষ হতেই ফের ধোনি মন দিলেন ব্যবসায়।
এবার ধোনি জোর দিতে চান কড়কনাথের ব্যবসায়। তাঁর নিজস্ব ফার্ম রয়েছে। সেখানে তিনি এবার কড়কনাথ বড় করতে চান। সেজন্য উঠেপড়ে লেগেছেন ধোনি।
মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলা কড়কনাথের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার একটা বড় অংশ জঙ্গলময়। সেখানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বাস। এঁদের মধ্যে কড়কনাথ প্রতিপালন ও তা খাওয়ার চল রয়েছে।
ঝাবুয়া জেলায় কড়কনাথ গবেষণা কেন্দ্রও রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর পরিচিতদের দিয়ে সেই কড়কনাথ মুর্গা রিসার্চ সেন্টার-এর সঙ্গেই যোগাযোগ করেন। তাদের কাছে ২ হাজারটি কড়কনাথ মুরগির ছানা চান তিনি।
কড়কনাথ মুর্গা রিসার্চ সেন্টার-এর ডিরেক্টর আইএস তোমার জানিয়েছেন, ধোনি প্রথমে বন্ধুদের দিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা ধোনির চাহিদা মত ২ হাজার কড়কনাথ ছানা দিতে পারার অবস্থায় ছিলেন না। তাঁরাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর এক কড়কনাথ প্রতিপালক বিনোদ মেন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তিনি ধোনির চাহিদা মত ২ হাজারটি কড়কনাথ দিতে রাজি হন। ধোনিও তাঁকে অর্ডার দিয়ে দেন।
ধোনির ২ হাজারটি কড়কনাথের অর্ডার অবশ্য চাওয়া মাত্র দিতে পারেননি বিনোদ মেন্দা। তবে তিনি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো অর্ডার-এর জোগান দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ধোনির রাঁচির ফার্মে ২ হাজারটি কড়কনাথ ছানা খেলে বেড়াবে।
সাধারণভাবে যে মুরগির মাংস সকলে খেয়ে থাকেন কড়কনাথ তেমনই। তবে আরও অনেক বেশি সুস্বাদু। কড়কনাথ মুরগির রং হয় মিশকালো। ফলে তার মাংসও হয় কালো রংয়ের। যা দেখতে মোটেও দৃষ্টিনন্দন না হলেও স্বাদে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই দর্শনের দিকটা বাদ দিয়ে যদি কড়কনাথে কামড় দেওয়া যায় তাহলে মন ভরে যেতে বাধ্য।
এই মাংসের আরও একটি বড় গুণ হল কড়কনাথের মাংসে ফ্যাট থাকেনা, কোলেস্টেরলের চিন্তা নেই। অথচ মন ভোলানো স্বাদ। কড়কনাথের দাম অবশ্য সাধারণ মুরগির চেয়ে অনেকটাই বেশি। ক্রমে ভারতে কড়কনাথের চাহিদা বাড়ছে। হয়তো সেকথা মাথায় রেখেই ধোনি কড়কনাথের ব্যবসায় মন দিতে চাইছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা