অদ্ভুত বুদ্ধিমান প্রাণি, ডাক্তার দেখলে নিমেষে চিনতে পারে
দাঁত মাজতে তার ঘোর আপত্তি। কিছুতেই সে দাঁত মাজবে না। ডাক্তারকে দেখেই সে যা বোঝার বুঝে যায়। তারপর যা করার করেও।
দাঁতের যত্ন তো নিতেই হয়। নেওয়া উচিতও। জঙ্গলে যে সব প্রাণিরা থাকে বা রাস্তায় যে সব প্রাণি কারও জিম্মায় না থেকে স্বাধীনভাবে ঘোরে, তাদের কথা বাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যে তার মালিকের দায়িত্বে রয়েছে, তার তো যত্ন হবেই।
সেই যত্নেই তার যত আপত্তি। সে দাঁত পরিস্কার করবেনা। দাঁতের যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও তার আপত্তি। তার দাঁতে সে কাউকে হাতই দিতে দেবেনা।
পশু চিকিৎসককে দেখে তাই সে বুঝতে পেরে যায় তার দাঁত সাফাই হবে এবার। তাই পশু চিকিৎসক যে পথে এসেছিলেন, সেই খোলা দরজা দিয়েই সে এক ছুটে চম্পট দেয় মনিবের খামার থেকে।
লামা নামে প্রাণিটি কিছুটা লম্বা গলার চতুষ্পদ। সে মেইন-এর একটি খামারে বেশ যত্নেই থাকে। মনিব তার যত্নআত্তি করেন। তারই দাঁত পরিস্কার করার জন্য পশু চিকিৎসককে খবর দিয়েছিলেন মনিব।
পশু চিকিৎসককে দেখতেই সেই পোষ্য লামাটি বুঝে যায় তার দাঁতে হাত পড়তে চলেছে। তাই গেট খুলে চিকিৎসক ঢুকতেই সেই খোলা গেট কাজে লাগিয়ে এক ছুটে সে চম্পট দেয়।
তারপর গোটা এলাকার এদিক ওদিক সেদিক ঘুরে একটা দীর্ঘ সময় রাস্তা চষে ফেলে ফিরে আসে তার সেই খামারেই। তবে যে পথে সে গিয়েছিল তার ঠিক উল্টো দিক দিয়ে ঘরে ফেরে সেই লামা। ঘটনাটি ঘটেছে মেইন-এর ব্যাংগর শহরে।