ভারতের বাইরেও ২ দেশে মকরসংক্রান্তি সমান উৎসাহে পালিত হয়
ভারতের অন্যতম প্রধান উৎসব মকরসংক্রান্তি। তবে দেশের বাইরেও ২টি দেশে মকরসংক্রান্তি সমান উৎসাহ ও উৎসবের মেজাজে পালিত হয়। মানা হয় নানা নিয়ম।
মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে রাজ্যে গঙ্গাসাগর বা কেন্দুলিতে অজয় নদে পুণ্যস্নানের জন্য দূর দূর থেকে মানুষ হাজির হন। এছাড়াও গঙ্গায় স্নান করেন অনেকে। দেশজুড়েই এদিন সুযোগ থাকলে কোনও পবিত্র নদীতে বা কোনও কাছের জলাশয়ে পুণ্যস্নান করেন মানুষজন। কৃষকদের কাছে এদিনটা হল ফসল ঘরে তোলার উৎসব।
এদিনই দেশে শীত শেষ আর বসন্তের শুরু বলে ধরা হয়। ফলে ভারতের কোণায় কোণায় দিনটি অত্যন্ত আনন্দ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। কিন্তু শুধু ভারতই নয়, ভারতের বাইরেও মকরসংক্রান্তি সমান পরিমাণ উৎসাহেই পালিত হয় ২টি দেশে।
নেপালে মকরসংক্রান্তি পালিত হয় ‘শিশুর সেংক্রাত’ নামে। নেপাল জুড়ে দিনটি ঘুড়ি উড়িয়ে পালিত হয়। এছাড়া এদিন অনেক নেপালি পরিবারেই খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়।
এই দিন আশির্বাদ নেওয়ারও রীতি প্রচলিত। যাতে সারাবছর ভাল কাটে। প্রসঙ্গত শিশুর সেংক্রাত নামে শুধু নেপালে নয়, ভারতের কাশ্মীরেও পালিত হয় মকরসংক্রান্তি।
নেপালে যেমন মকরসংক্রান্তি পালিত হয় উৎসাহের সঙ্গে ঠিক তেমনই ভারতীয় দক্ষিণ প্রান্তের নিচে অবস্থিত শ্রীলঙ্কাতেও মকরসংক্রান্তি পালিত হয় একই উদ্দীপনায়। শ্রীলঙ্কায় মকরসংক্রান্তি পরিচিত ‘থাই পোঙ্গল’ নামে।
শ্রীলঙ্কাবাসী এদিন উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন। এই দিনে অনেকগুলি পরিবার অনেক সময় একত্র হয়ে একটি বিশেষ রান্নায় মেতে ওঠে। যা তৈরি হয় নতুন চাল দিয়ে। পোঙ্গল নামে সেই রান্না সকলে মিলে একসঙ্গে রেঁধে খাওয়ার রীতি শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত। সেভাবেই তারা এই দিনটি পালন করে।