দিগন্তে ৩ বার ভেসে উঠল মহাজাগতিক আলো, সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলেন ২ লক্ষ মানুষ
সকাল থেকেই পাহাড়ে চড়া শুরু হয়েছিল। এমন করে ক্রমে সেই সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। তারপরই নামে সন্ধে। দিগন্তে ফুটে ওঠে অপূর্ব মহাজাগতিক আলো।
পাহাড়ের নিচে একটি নদী। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু হয়। কেবল সে রাজ্যের মানুষই নন, ভিন রাজ্য থেকেও এ মন্দিরে ভক্ত সমাগম দেখার মত। প্রশাসন জানাচ্ছে, কার্যত তাদের রাজ্যের মানুষের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে ভিন রাজ্য থেকে আসা ভক্তের সংখ্যা।
এ মন্দিরে ভক্তদের যাতায়াত শুরু হয়েছিল নভেম্বর মাস থেকেই। মন্দির ভক্তদের জন্য খোলার পর থেকেই। তবে মকরসংক্রান্তির দিনটা একদম আলাদা। এই পুণ্যতিথিতে ভক্তের ঢল নামে কেরালার পথনমথিত্তা জেলার সবরিমালা মন্দিরে।
ভগবান আয়াপ্পন পূজিত হন এ মন্দিরে। পাহাড়ের তলদেশে পাম্বা নদীর ধার থেকেই শুরু হয় হেঁটে পাহাড়ে চড়া। এভাবেই পৌঁছতে হয় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত সবরিমালা মন্দিরে।
মকরসংক্রান্তি কেরালায় পালিত হয় ‘মকর ভিল্লাকু’ নামে। সেই মকর ভিল্লাকু-র দিনে সরবিমালায় পৌঁছে দেবতার দর্শন পাওয়াই নয়, ভক্তদের কাছে আরও এক অন্যতম আকর্ষণ হয় সন্ধে নামার পর দিগন্তে এক মহাজাগতিক আলো দেখা। পাহাড়ের ওপর থেকে এবার সেই আলো প্রত্যক্ষ করলেন ২ লক্ষের ওপর ভক্ত।
মকরসংক্রান্তি বা মকর ভিল্লাকু-র দিনে সন্ধে নামার পর সেই আলো দিগন্তে ফুটে ওঠার পরই ভক্তরা সমবেত কণ্ঠে বলে ওঠেন ‘স্বামীয়া স্বরণায়াপ্পা’। এভাবে ৩ বার বিভিন্ন সময়ে সন্ধে রাতে দেখা যায় সে আলো। আর যখনই দেখা গেছে তখনই ভক্তদের সমবেত কণ্ঠে শোনা গেছে স্বামীয়া স্বরণায়াপ্পা।
মকরসংক্রান্তির দিন সারা দেশ যখন নানাভাবে এই পুণ্যতিথি পালন করল তখন কেরালার বিখ্যাত সবরিমালা মন্দিরে এই মহাজাগতিক আলো এক ঐশ্বরিক আলো হয়ে ফুটে উঠল সন্ধের আকাশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা