National

কুম্ভ থেকে গঙ্গাসাগর, শাহি স্নানে মশগুল লাখো পুণ্যার্থী

তিথি, নক্ষত্র মেনে ভাল সময় ছিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা। তবে ভোরের ব্রহ্ম মুহুর্তে স্নানও অনেকে সঠিক বলে মনে করেন। ফলে মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই কুম্ভ থেকে গঙ্গাসাগর সর্বত্র শুরু হয় পুণ্যস্নান। বয়স নির্বিশেষে সকলেই ঠান্ডা জলে ডুব দেন পুণ্য সঞ্চয়ের আশায়। প্রাণভরে প্রণাম করেন। স্তব, স্তোত্র পাঠ করেন।

মকরসংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে প্রয়াগ বা গঙ্গাসাগরে স্নান যে তাঁরা করতে পেরেছেন এটা ভেবেই অনেকে আপ্লুত ছিলেন। ভারতের এই ২ ক্ষেত্র মকরসংক্রান্তির দিন লক্ষ লক্ষ মানুষে ভরে ওঠে। সকলেই সম্মোহিতের মত এগিয়ে চলেছেন। স্নান সারছেন। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করছেন শত পাপ ধুয়ে যেন মন তাঁদের পরিচ্ছন্ন হল। লাভ হল পুণ্য। এই বিশ্বাস, এই ভক্তি কত মানুষকে কত কষ্ট সহ্য করেই এই পুণ্যক্ষেত্রে নিয়ে আসে। তাঁদের মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তোলে।


প্রয়াগরাজে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয় শাহি স্নান। সে সাধু থেকে শুরু করে বিশেষ আখড়ার স্নান হোক বা আমজনতার স্নান। লক্ষ লক্ষ মানুষ জলে ডুব দেন এদিন।

গঙ্গাসাগরেও রাত থেকেই স্নান সারেন বহু মানুষ। সেই স্নানপর্ব চলতেই থাকে দিনভর। লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজির হচ্ছেন। স্নান করছেন সাগরের জলে। মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। স্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে প্রণাম সারছেন।


মেলার পথ ধরে সাধুদের সারিবদ্ধ মাচা। সব মাচার ওপরেই বসে বা দাঁড়িয়ে সাধুরা। কেউ নাগা সন্ন্যাসী। কেউ গেরুয়া বসন পরা সাধু। অধিকাংশের হাতেই একটা পালকের ঝাঁটা মতন। যা দিয়ে তাঁরা আশীর্বাদ করছেন পথ চলতি মানুষকে। এও এক পরম মিলনক্ষেত্র। যা বছরের এই দিনটায় মানুষের পায়ে পায়ে ভরে ওঠে।

Gangasagar
গঙ্গাসাগরে পুরীর শঙ্করাচার্যের মকরের স্নান, ছবি – আইএএনএস

কুম্ভ হোক বা গঙ্গাসাগর। সুরক্ষা বন্দোবস্ত ছিল দেখার মতন। নজরদারিতে কাজে লাগানো হয় আধুনিক প্রযুক্তিকে। আকাশ পথে ওড়ে ড্রোন। সতর্ক করে ঘোষণা থেকে চতুর্দিকে পুলিশি বন্দোবস্তও ছিল দেখার মতন। ছিল ওয়াচ টাওয়ার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button