খিলজিদের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি দিল অজানা খিচুড়ি, শুরু হল মকরসংক্রান্তির মহাভোগ
মকরসংক্রান্তি এমন এক উৎসব যা ভারতের কোণায় কোণায় পালিত হয়। প্রতিটি কোণায় আবার পালনের ধরন আলাদা। যেমন খিচুড়ি আবশ্যিকভাবে জড়িয়ে আছে দেশের এক প্রান্তে।
এক সময় খিলজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন নাথ যোগীরা। তাঁরা যোগ সাধনায় ব্রতী হলেও খিলজিদের মোকাবিলা সর্বশক্তি দিয়েই করেছিলেন। কথিত আছে একটা সময় খিলজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন নাথ যোগীরা। সেই সময় অধুনা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে থাকতেন বাবা গোরক্ষনাথ।
তিনি নাথ সাধুদের শরীরের অবস্থা দেখে একটি নতুন পদ রাঁধেন। ভাত, ডাল ও অনেক সবজি দিয়ে বাবা গোরক্ষনাথ সেই পদ রেঁধে নাথ যোগীদের খাওয়ান।
এই অচেনা নতুন পদ খেয়ে নাথ যোগীরা যেমন তৃপ্ত হন, তেমনই শরীরে বল ফিরে পান। বাবা গোরক্ষনাথের তৈরি সেই পদই ছিল খিচুড়ি। মকরসংক্রান্তির দিন তাই উত্তরপ্রদেশ জুড়ে খিচুড়ি পরব পালিত হয়।
মকরসংক্রান্তির দিন উত্তরপ্রদেশের বহু পরিবারে খিচুড়ি খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এমনকি একটি খিচুড়ি মেলা পর্যন্ত পালিত হয় এদিন। যা পালিত হয় গোরক্ষপুরের বাবা গোরক্ষনাথ মন্দিরে। বহু মানুষ শামিল হন এই অভিনব খিচুড়ি মেলায়।
তাই মকরসংক্রান্তির বিশেষ খাবার যদি বাংলায় পিঠেপুলি হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশে খিচুড়ি। লাগোয়া বিহারেও এই দিন খিচুড়ি খাওয়ার চল আছে। মকরসংক্রান্তির দিন খিচুড়ির চল রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও।
শুধু খিচুড়ি খাওয়াই নয় এদিন কোনও নদী বা জলাশয়ে পুণ্যস্নানেরও প্রচলন রয়েছে এই রাজ্যগুলিতে। পুণ্যস্নান সেরে পুজো করে খিচুড়ি খাওয়ার মধ্যে দিয়ে মানুষ মকরসংক্রান্তিকে নিজেদের মত করে পালন করেন।