এই রেস্তোরাঁয় ঢুকলে সাপদের সঙ্গে খেলা আর খাওয়া একসঙ্গে চলে
রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে যদি সাপ দেখা যায় তাহলে আঁতকে ওঠার মত ঘটনা ঘটে। সেখানে এই রেস্তোরাঁয় সাপদের সঙ্গে খেলতে খেলতে খাবার খান ভোজন রসিকরা।
রেস্তোরাঁয় ঢোকার পর খাবার অর্ডার দেওয়া হল। তারপর পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা। খাবার এলে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে অবশেষে বিল মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেওয়া। এটাই স্বাভাবিক।
তবে এই পুরো স্বাভাবিকতার মাঝে একটি অস্বাভাবিকতা মানুষকে চমকে দিতে পারে একটি রেস্তোরাঁয়। এখানে খাবার অর্ডার দেওয়ার পর টেবিলে বসে গল্পগুজব করতে করতে হাতে তুলে নেওয়া যায় সাপ।
সাপ পছন্দ না হলে বড় চেহারার টিকটিকিও রয়েছে। তারাও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ মিশুকে। গ্রাহকরা তাদের সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন। শুধু বড়রা নন, ছোটরাও এই সাপ বা টিকটিকির সঙ্গে খেলা করতে পারে অনায়াসে। ভয়ের কিছু নেই।
এখানে সাপ বা টিকটিকির হাবভাব খুবই ঘরোয়া। তবে যাঁরা সরীসৃপ পছন্দ করেন না তাঁরা এ রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে একটু ভেবে যাওয়াই ভাল। কারণ এখানে ঢুকলে সরীসৃপদের সাহচর্য অবশ্যম্ভাবী।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের এই রেস্তোরাঁ কিন্তু বিখ্যাতই তার দোকান ভর্তি সরীসৃপের জন্য। সরীসৃপ প্রেমী এক মানুষের উৎসাহেই এই রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে।
এখানে স্থানীয়রা তো বটেই, অনেক পর্যটকও হাজির হন নিত্যদিন। এখানকার খাবার নিয়ে যে তাঁদের অমোঘ টান কাজ করে এমনটা নয়, বরং মূল আকর্ষণ থাকে সরীসৃপদের সময় কাটানোর সুযোগ। খাওয়াটা তো গৌণ! সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই রেস্তোরাঁর সাপ, টিকটিকির কাণ্ডকারখানা ছড়িয়ে আছে।