স্বপ্নের দ্বীপে নীল সমুদ্রের ধারে হানিমুন, তবু বিরক্ত নবদম্পতি
চারধারে নীল জল, সোনালি বালুকাবেলা, মাথার ওপর নীল অসীম আকাশ, নির্জন দ্বীপ
বিয়ের পর কোথায় হনিমুনে যাবেন নবদম্পতি তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই চলে আলাপ আলোচনা। তারপর ২ জনে স্থির করেন নবজীবন শুরু করে একে অপরকে আপন করে চেনার স্বপ্নের ডেসটিনেশন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বাসিন্দা ২ ভারতীয় রোহন ও রিয়া ভাটিয়া। সবে বিয়ে হয়েছে গত মাসে। বিয়ের পর ২ জনে উড়ে গিয়েছিলেন মালদ্বীপে। একটি দ্বীপে তাঁরা হাজির হন সেখানে। ওটাই ছিল তাঁদের হানিমুন ডেসটিনেশন।
চারধারে নীল জল, সোনালি বালুকাবেলা, মাথার ওপর নীল অসীম আকাশ, একটা প্রায় নির্জন দ্বীপ, শুধু রোহন আর রিয়া। এ যেন স্বপ্নের হানিমুন। বেশ কাটছিল দিনগুলো। রিয়ার মতে এ যেন এক শাশ্বত হানিমুন। কিন্তু সবকিছুরই শেষ থাকে। সেইমত ২০ মার্চ তাঁদের ফেরার দিন ছিল দুবাইতে। আর তার ঠিক আগেই খবর আসে যে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।
২ জনেই ছোটেন যদি টিকিট পাওয়া যায়। যদি কোনওভাবে দুবাইতে ফিরে যাওয়া যায়। কিন্তু তাঁরা জানতে পারে করোনার জন্য ১৯ মার্চ দুপুর ১২টার পর মালদ্বীপ থেকে আর কোনও বিমান নেই। আর সেসব বিমানে যাওয়ার বন্দোবস্ত তাঁরা করে উঠতে পারেননি।
অগত্যা মালদ্বীপের সেই দ্বীপেই এখন আটকে রয়েছেন রিয়া ও রোহন। যে দ্বীপে পৌঁছে তার চোখ জুড়নো চারপাশ দেখে আর এমন এক পরিবেশে হানিমুন করতে পেরে যে তরুণ ২ হৃদয় এক হয়েছিল। সবকিছু স্বর্গীয় বলে মনে হচ্ছিল। সেই দ্বীপ থেকে এখন তাঁরা কবে ফিরবেন সেই চিন্তা তাঁদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
হানিমুন লাটে উঠে এখন তাঁদের ২ জনেরই চিন্তা কবে মুক্তি এখান থেকে। রোহন আবার কাজের ল্যাপটপটাও সঙ্গে আনেননি। ফলে ওখান থেকে যে অফিসের কাজ করবেন সেটাও হচ্ছে না। সব মিলিয়ে খুব চিন্তায় এই নবদম্পতি। শুধু ভরসা একটাই, মালদ্বীপে করোনা সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি। আক্রান্ত সবমিলিয়ে ১৯ জন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা