মাথাব্যথার নাম বেড়াল, অন্য পথে হাঁটতে চলেছে কাছের দেশ
বেড়াল নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তা এই নয়া ভাবনার কথা না শুনলে হয়তো বোঝা যেত না।
বেড়ালও যে ক্রমে সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে, বেড়ালদের নিয়েও সরকারকে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটার কথা চিন্তা করতে হয়, তা বোঝা গেল ভারতের কাছের দেশের এক বিশেষ নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটার ভাবনায়।
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে একটা দ্বীপকে বেছে নেওয়া হয়েছে বেড়ালদের জন্য। আপাতত সেখানেই বেড়াল জড়ো করছে সে দেশের প্রশাসন। রাস্তায় বেড়াল ঘুরতে দেখলেই এখন তাকে পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই হালহুমালে দ্বীপে।
এখানেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে পেট কেয়ার সেন্টার। যেখানে বেড়াল জমা করা হচ্ছে। যদি মালদ্বীপের কোনও বাসিন্দা বেড়াল পুষতে ইচ্ছুক হন তাহলে তাঁকে ওই দ্বীপের পেট কেয়ার সেন্টারে হাজির হতে হবে। তারপর সেখান থেকে বেছে নিতে হবে একটি বেড়াল।
মালদ্বীপ সরকার আর বিদেশ থেকে বেড়াল আনতে আগ্রহী নয়। এজন্য দেশের অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বিলে সংশোধন চাইছে তারা। যা অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে জমাও পড়েছে।
মালদ্বীপের কৃষি ও প্রাণি কল্যাণ মন্ত্রী আইশথ রমিলা জানিয়েছেন, মালদ্বীপ সরকার বিদেশ থেকে গৃহপালিত পশু আনানোয় আগ্রহী নয়। বরং বেড়ালের জন্য তারা আরও বড় করে একটি পেট কেয়ার তৈরি করছে।
যেখানে বাড়ির পোষ্য বেড়ালকে রেখেও যেতে পারবেন মালদ্বীপের বাসিন্দারা। তাঁরা বাইরে কিছুদিনের জন্য গেলে সেখানেই থাকবে তাঁদের বাড়ির বেড়ালটি। এই মুহুর্তে শুধু মালেতেই ৪ হাজার বেড়াল রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে হিসাব দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা