সোমবার সকাল। গ্রামটা তখন সবে ছন্দে ফিরছে। সেসময় আচমকাই গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা। কোনও দিক দিয়ে পালানোর পথ বন্ধ করে দেয় তারা। সকলের হাতেই বন্দুক। প্রথমেই তারা গ্রামের বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘরেই আটকে পড়েন বাসিন্দারা। আগুনের গ্রাসে আসতে থাকেন তাঁরা। ঘরের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হতে থাকে। এরমধ্যই কয়েকজন কোনওক্রমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
আগুনের হাত থেকে নিজেকে কোনওভাবে বাঁচাতে পারলেও বন্দুকের নিশানা থেকে বাঁচতে পারেননি তাঁরা। দুষ্কৃতিরা নিশানা করেই বসেছিল। আগুনে ঝলসে গেলে ভাল। আর তা থেকে বেঁচে বার হলে গুলি করে হত্যা ছিল তাদের পরিকল্পনা। সেটাই করে তারা। গুলি করে মারতে থাকে গ্রামবাসীদের। গ্রাম জুড়ে শুধুই আগুন, গুলির শব্দ, রক্তের বন্যা আর ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা দেহ।
নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার মালি-তে। সোনা কোউবউ গ্রামে এই হামলা হয়। দোগোন নামে স্থানীয় এক জনগোষ্ঠীর বাস ছিল এই গ্রামে। তারাই ছিল দুষ্কৃতিদের মূল নিশানা। ফলে গ্রামটাকেই কার্যত শেষ করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ গিয়ে ৯০টি দেহ উদ্ধার করেছে। এখনও নিখোঁজ ৩০ জন। গোটা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে পোড়া অথবা গুলিবিদ্ধ দেহ। মালি-তে জনগোষ্ঠীদের ওপর হামলা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও এমন গণহত্যার নজির রয়েছে এখানে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা