তাঁর সাহসী অভিনয়। পর্দায় অক্লেশে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করার ক্ষেত্রে সাবলীল ভঙ্গি। শরীরকে অনেকটা উন্মুক্ত করার সাহস। এমনই একটা তকমা এঁটে তাঁকে কাজে লাগাতেন বলিউডের সিনেমা প্রস্তুতকারকরা। কেউ তাঁকে আবিষ্কার করার চেষ্টাই করলেন না। কেউ তাঁর অভিনয় ক্ষমতাকে কাজে লাগালেন না। তাঁকে নায়িকা হতে দিলেন না। তিনি চিরকাল সাহসী নায়িকাই রয়ে গেলেন। এভাবেই নিজের আক্ষেপ তুলে ধরলেন বলিউডের এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াত। ২০০৪ সালে অনুরাগ বসু পরিচালিত ‘মার্ডার’ সিনেমায় ইমরান হাশমির বিপরীতে আত্মপ্রকাশ করেই তিনি হৈচৈ ফেলে দেন। গভীর চুম্বন দৃশ্যে তাঁর অভিনয় নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়। চর্চা হয় মার্ডার সিনেমায় তাঁর শরীরকে অনেকটাই উন্মুক্ত করার সাহস নিয়ে।
মল্লিকা শেরাওয়াতকে সেভাবে অনেকদিনই সিনেমায় দেখা যাচ্ছে না। এবার তিনি একটি ডিজিটাল শো নিয়ে ফের ফিরতে চলেছেন। হরর-কমেডি ধর্মী এই শোয়ের নাম ‘বুউউউ..সবকি ফাটেগি’। তার আগে সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, তিনি যখন অভিনয় করতেন তখন গুড গার্ল ইমেজ হত হিরোইনদের। তাঁরা হিরোদের গার্লফ্রেন্ড হতেন। সেভাবেই ভাবতেন সিনেমা প্রস্তুতকারকরা। এখন সময় বদলেছে। এখন নারীকে সিনেমায় নানাভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। তাঁদের অভিনয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বহুমুখী চরিত্রে তাঁদের অভিনয় করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সেভাবেই গল্প লেখা হচ্ছে।
শরীরকে উন্মুক্ত করে পর্দায় আসা নিয়ে এখনও তিনি সাবলীল বলেই জানালেন মল্লিকা। তিনি দাবি করেন এখনও সারা বিশ্বেই চলচ্চিত্র জগতে মহিলাদের সুন্দর থাকা ও শরীরটা সুন্দর রাখার জন্য চাপ থাকে। তাঁর সেই সমস্যা নেই। কারণ তিনি নিজে ভেগান। তাই তাঁকে শরীর সুন্দর রাখা নিয়ে চাপে পড়তে হয়না। তারপরও তাঁর আক্ষেপটা রয়েই গেছে। বলিউড তাঁকে কখনও ব্যবহার করতে পারলনা। মল্লিকা শেরাওয়াত কিন্তু একজন অভিনেত্রীর পাশাপাশি নারী অধিকার নিয়ে লড়াই করা মহিলা। নারী অধিকারের স্বার্থে লড়াই করা একজন মহিলা সমাজকর্মী হিসাবেই তিনি দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা