এ গ্রামে মানুষ থাকেনা, তবে বিয়ে হয়, বেড়াতে আসেন অনেকে
এক বিশাল এলাকা জুড়ে গ্রাম। অনেক বাড়িঘর। ছবির মত সুন্দর। কিন্তু এখানে মানুষ থাকেনা। তবে এখানে বহু মানুষ ঘুরতে আসেন। বিয়েও হয় এখানে।
এই গ্রামটি একবার দেখলে এখানে থেকে যেতে ইচ্ছে হতেই পারে। এতটাই সুন্দর তার চারধার। ছবির মত সুন্দর। তেমনই রঙিন এই গ্রামখানা। জলের ধারে পাহাড়ি ঢাল বেয়ে তৈরি হয়েছে গ্রাম। রং আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানে খেলা করে।
কিন্তু এখানে মানুষ থাকেন না। গ্রামটা তৈরি হওয়ার পর থেকে কখনও কোনও মানুষ এ গ্রামে বাস করেননি। তবে বেড়ানোর জন্য এ গ্রামে মানুষের ঢল নামে। এখন তো আবার ডেসটিনেশন ওয়েডিংয়ের চল। তাই অনেকে এই গ্রামকে বিয়ের জন্যও বেছে নেন।
দক্ষিণ ইউরোপে ভূমধ্যসাগরের ওপর থাকা ৩টি দ্বীপ নিয়ে রয়েছে মল্টা। প্রজাতান্ত্রিক দেশ মল্টা-র সবচেয়ে বড় পাওনা এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে তৈরি মল্টাতে সমুদ্রের ধার ঘেঁষে পাহাড়ি ঢালে ১৯৮০ সালে একটি গ্রাম তৈরি হয়। অ্যাংকর বে-এর ধারে অনেকটা জায়গা জুড়ে অনেক ঘর তৈরি হয়।
সুন্দর দেখতে সেই গ্রাম আসলে তৈরি করা হয়েছিল একটি সিনেমার প্রয়োজনে। একটি সেট হিসাবে। ৭ মাস ধরে রাতদিন এক করা পরিশ্রমে এই গ্রাম তৈরি হয়।
বিখ্যাত কার্টুন সিরিজ পপাই-এর কথা সকলের জানা। সেই পপাই নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয় ১৯৮০ সালে। সেই সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য এই গ্রাম তৈরি করা হয়। নাম দেওয়া হয় সুইটহাভেন গ্রাম। যদিও পরে তা পপাই গ্রাম নামেই পরিচিত হয়ে যায়।
সিনেমার শ্যুটিং শেষ হলেও এই গ্রামের সেট কিন্তু ভেঙে ফেলা হয়নি। বরং একে আরও কিছুটা মেরামত করে, রং করে সাজিয়ে ফেলা হয়।
যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে সময় নেয়নি। ফলে সে গ্রাম অটুট অবস্থায় থেকে যায়। এখন অনেকে এই গ্রামে বিয়েও করতে যান।