দুপুর প্রায় ২টো। মাথার ওপর সূর্য আগুন ঢালছে। যতটা সম্ভব ছায়া দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছেন পথচলতি মানুষজন। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে তখন থিক থিক করছে পুলিশ। থিক থিক করছে তৃণমূলের পতাকা হাতে নারী পুরুষ। শ্যামবাজারে হাজির হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখেই বিধানসভা ভোটের আগে দলের হয়ে প্রচার শুরু করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেইমত পূর্বসূচী মেনে বিধান সরণি ধরে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা সাহা সহ তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরা। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি সহ কলকাতায় প্রার্থী হওয়া অন্যান্য নেতারা। আর ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে শুরু করে দলের কর্মী সমর্থকেরা।
মিছিল যত এগিয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে। আগুনে গরমকে উপেক্ষা করে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে পা মেলানোয় সামিল জনসমুদ্র। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই আশপাশের বাড়ির লোকজন, পথচলতি মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছে এসে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় মিছিল। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে ঘোরানো হয় মিছিলের পূর্ব নির্ধারিত গতিপথ। মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মিছিল এগোয় লেনিন সরণি ধরে। সাড়ে ৩টে নাগাদ ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে শেষ হয় মিছিল। সেখানেই অতি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ভোটের প্রচার শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী।
বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে মমতার মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। মিছিল বিকেল সাড়ে ৩টের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও যানজট কাটতে বিকেল গড়িয়ে যায়।