তাঁর সরকারকে কেউ যেন দুর্বল মনে না করে। এদিন একথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগুইআটিতে স্কুলের জমি কিনে প্রোমোটারি করতে রাতারাতি স্কুল ভাঙার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানান, কোনও বাড়ি তৈরি হবেনা। ওখানে স্কুল ছিল, স্কুলই থাকবে। বাচ্চারা পড়াশোনা করবে। ভাঙা স্কুল তৈরি করে দেবে রাজ্য শিক্ষা দফতর। এভাবে স্কুল ভেঙে বাড়ি বানানোর চেষ্টার সাহস দেখানোয় তিনি অবাক বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে এদিন অস্থায়ীভাবে চালু হয়েছে বাগুইআটির লীলাদেবী মেমোরিয়াল স্কুল। ভাঙা স্কুলেই শুরু হয়েছে পঠন পাঠন। ছোট্ট পড়ুয়াদের সকলের ইচ্ছা এখানে স্কুল থাকুক। তারা এখানে পড়াশোনা করতে চায়। প্রসঙ্গত স্কুলটি যাঁর জমিতে তৈরি, সম্প্রতি সেই ব্যক্তির কাছ থেকে স্কুলের জমি কিনে নেয় স্থানীয় এক প্রোমোটার মিজানুর রহমান। এরপর গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় স্কুল ভাঙার কাজ। কোনও আগাম নোটিস ছাড়াই। প্রোমোটারের পক্ষ থেকে স্কুলকে কোনও নোটিস না দেওয়ায় শনিবার সকালে যথারীতি স্কুলে আসেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়া। স্কুল ভাঙা হচ্ছে দেখে অবাক প্রধান শিক্ষক প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ প্রতিবাদ করায় তাঁকে ব্যাপক মারধর করে প্রোমোটারের দলবল। এদিকে এভাবে আচমকা এত পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে স্কুল ভাঙার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ক্ষোভে রাজারহাট রোড দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযুক্ত প্রোমোটার মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আসার পরই এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন।