চিকিৎসা কোনও ব্যবসা নয়, কসাইখানাও নয়, প্রোমোটিংও নয়। এটা একটা সেবা। এখানে লাভের একটা সীমা আছে। এদিন রাজারহাটে শঙ্কর নেত্রালয়ের অনুষ্ঠানে এসে ফের রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সোনার ডিম পাড়া মুরগি কেটে খাওয়ার চেষ্টা করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এত পেশেন্ট না দিলে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে। প্যাথলজি টেস্টের জন্য চাপ দিয়ে কমপক্ষে কত পরীক্ষা দিতে হবে তা চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা চলতে পারেনা। মানুষ মারা যাওয়ার পরও অপারেশন করা হচ্ছে! অসুখ হয়নি, তবু অসুখের নাম করে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এদিন আক্রমণাত্মক না হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বোঝানোর সুরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন আমজনতা পাশে তিনি থাকবেন। বেসরকারি হাসপাতালের লাগামছাড়া কাজকর্মের জন্যই মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় অনেক চিকিৎসা দিতে গিয়ে সরকারে কোষাগারে হাত পড়ে যাচ্ছে। খরচ ভীষণভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও তাঁরা ভাবনা চিন্তা করছেন। তবে কী সরকারি হাসপাতালে খরচ বাড়তে চলেছে রোগীদের? তেমনই কী একটা ইঙ্গিত এদিন দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী? এমন কিছু পরিস্কার করে না বললেও এসব শুনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে অনেকের মনে।