অবশেষে বর্ধমান ভেঙে দু’টুকরো হল। তবে প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে। এদিন আসানসোলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান ভেঙে পশ্চিম বর্ধমান নামে একটি নতুন জেলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমান জেলার পশ্চিম প্রান্তে খনি ও শিল্পাঞ্চলের প্রাধান্য। পূর্ব প্রান্তে ঠিক উল্টোটা। এখানে আবার চাষাবাদের সুযোগ্য জমি রয়েছে। যেখানে ভাল ফলনের সুখ্যাতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই দুই চরিত্রের বর্ধমানকে আলাদা করে দিয়েছেন। খনি ও শিল্পাঞ্চলের প্রাধান্য থাকা বর্ধমানকে নতুন জেলার স্বীকৃতি দিলেন তিনি। ফলে রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩টি।
পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোল ও দুর্গাপুর, ২টি মহকুমা থাকছে। থাকছে ৮টি ব্লক, ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১৬টি থানা। জেলার প্রশাসনিক সদর হচ্ছে আসানসোল। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নতুন জেলায় ভেঙে দেওয়ায় এখানকার উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখানকার রানিগঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় খনিতে ধস নামে। ক্রমশ অবস্থা জটিল হচ্ছে। এখানকার বাসিন্দাদের জন্য এটা কখনই সুখের নয়। তাই ৪৫ বাসিন্দাকে পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে। এদিকে উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে হাঁস, মুরগির ডিম উৎপাদনের জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন কোনও ব্যক্তি বাড়িতে একাজ করতে চাইলে তাঁকে সরকারের তরফে ১০টি হাঁস বা মুরগির ছানা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এটাই কোনও সেলফ হেল্প গ্রুপ করতে চাইলে তাদের এক থেকে দেড় হাজার হাঁস বা মুরগির ছানা দেওয়া হবে। আর কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চাইলে ১ লক্ষ পর্যন্ত হাঁস বা মুরগির ছানা দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা এগুলোকে বড় করে ডিমের ব্যবসা করতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানান, রাজ্যে প্রাত্যহিক ডিমের চাহিদা ৮০ লক্ষের মত। এটা বাইরে থেকে আনাতে হয়। তিনি চান এই ডিমের উৎপাদন রাজ্যেই হোক। এদিন এসবের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তরোয়াল নিয়ে রামনবমী পালন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।
(মুখ্যমন্ত্রীর ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)