পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এভাবে একটা সময় পর্যন্ত গা বাঁচানো পুলিশের কাজ নয়। পুলিশ এমন হবে যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে চোর-ডাকাত-দুষ্কৃতীরা ভয় পাবে। এদিন হাওড়া পুলিশের সুপারকেই এভাবে কর্তব্যের পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সচেতন থাকলে কেউ কোনওভাবে অশান্তি ছড়াতে পারবে না বলেও জানান মমতা। পাশাপাশি এক এক করে থানার আইসিকে দাঁড় করিয়ে জানতে চান তাঁদের কাছে তাঁর এলাকার ক্লাব, হোম, দুর্গাপুজো কমিটি সহ সবকিছুর ম্যাপ আছে কিনা। অনেকের কাছ থেকেই এ বিষয়ে সদুত্তর না পেয়ে কার্যতই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তার উত্তর তিনি যদি মুখস্থ বলতে পারেন, এত কাজের পরও যদি তিনি দিনে ৫০টি করে ফোন ধরতে পারেন, তবে সামান্য একটা এলাকার সব তথ্য কেন একজন আইসির কাছে থাকবে না। অবিলম্বে তা জোগাড় করে নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ছিল হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানেই সকলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী এক এক করে বিভিন্ন দফতর ও জেলার সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। জেলার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে ফের সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন তাঁরা যেন চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলেন। নাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই উলুবেড়িয়ায় একটি স্টেডিয়াম, ২টি কৃষক বাজার, বালি ফায়ার স্টেশন ও ফোরশোর রোডের সৌন্দর্যায়ন কার্যের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।