ব্যারাকপুরে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকেও পুলিশকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক পুলিশ আধিকারিককে দাঁড় করিয়ে কড়া কথা শোনান তিনি। সে বারাসত কলেজে চলা তাণ্ডব হোক বা অন্য কোনও সমস্যা। পুলিশকে কড়া হাতে তা দমন করার নির্দেশ দেন তিনি। এদিনও তিনি পরিস্কার বলেন, পুলিশ চমকালে সকলে ভয় পাবে। পুলিশকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে পরামর্শও দেন তিনি। এদিন বিভিন্ন এলাকার বিধায়কদের দাঁড় করিয়ে করিয়ে সেখানকার উন্নয়ন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, কোন কাজ এখনও শেষ হয়নি, সবই যে তাঁর হোমওয়ার্ক করা আছে তা এদিন পরিস্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তাঁর চোখে ধুলো দেওয়ার রাস্তা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পরিস্কার হুঁশিয়ারি, কাজ হয়েছে হচ্ছে করে পার পাওয়া যাবে না। এখানে যা বলছেন তা কাজে হচ্ছে কিনা তা দেখতে যে কোনও সময় এলাকায় হানা দেবেন তিনি। খতিয়ে দেখবেন বৈঠকে বলা কথা কতটা সত্যি।
ব্যারাকপুরে ছিল এদিনের বৈঠক। শিল্পের জন্য বরাদ্দ এলাকায় কোনও প্রোমোটিং তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও সাফ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যারাকপুরে সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল। এখনও ব্যারাকপুরে অনেককিছু দেখার আছে। তাই ব্যারাকপুরকে ঢেলে সাজাতে হবে। তৈরি হবে অমর শহিদ জ্যোতি, স্মৃতি স্মারক, ইকো ট্যুরিজম। ব্যারাকপুরকে সাজানোর জন্য ব্যারাকপুর ডেভেলপমেন্ট বোর্ডও তৈরি করে দেন তিনি। বরাদ্দ করেন ৫ কোটি টাকা।
এদিকে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের কাজের ঢিমেতাল গতি নিয়ে এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কোনও কথা শুনতে চাননা। যেভাবে হোক ওই কাজ কালীপুজোর আগে শেষ করতে হবে। গত সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের গবাদি পশু সংক্রান্ত নির্দেশিকা তিনি মানছেন না। এদিন ফের কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গায় গোরক্ষার নামে তাণ্ডব চলছে। রাজ্যে এমন কাণ্ড তিনি মেনে নেবেন না। এখানে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।