বৃহস্পতিবার হুগলিতে ছিল মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক। তার আগে প্রশাসনিক সভা থেকে হুগলি জেলার জন্য ৪টি উপহার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চন্দননগরে তৈরি হচ্ছে নতুন পুলিশ কমিশনারেট। তারকেশ্বরের উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে তারকেশ্বর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তারকেশ্বরে তৈরি হবে মেডিক্যাল কলেজ। এটা প্রফুল্লচন্দ্র সেনের নামে তৈরি হবে। লাগবে ৫ একর জমি। যা সিঙ্গুর ও তারকেশ্বরের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় খোঁজার ভার জেলাশাসককে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া এবার হুগলির ছাত্রছাত্রীরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে। তাই তাদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথা এদিন ঘোষণা করেন।
এছাড়া হুগলি জেলার পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা খাপার বলে পরিচিত। সেই ব্যবস্থাকে উন্নত করতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অডিটোরিয়ামের উন্নয়নে ৪ কোটি টাকা, বাস স্ট্যান্ড গড়তে ১ কোটি টাকা, ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। তাছাড়া তারকেশ্বর মন্দির সংস্কারে ৫ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মঞ্চ থেকেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাল গুণমানের শাড়ি ও সাইকেল দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। নোটবন্দি নিয়ে শুরু থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বৃহস্পতিবার বার হওয়া খতিয়ান অনুযায়ী দেশের জিডিপর হার গত আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে কমেছে ২ শতাংশ। যা দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখের নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, যখন গত নভেম্বরে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র, তখনই তিনি জানিয়েছিলেন এর জেরে দেশের জিডিপির হার অন্তত ২ শতাংশ কমবে। ৬ মাস পর ফলাফলে সেটাই দেখা গেল। এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান মুখ্যমন্ত্রী।