পর্যটকদের আতঙ্কের কিছু নেই। সরকার পাশে আছে। এদিন ম্যালের রাস্তায় নেমে আতঙ্কিত পর্যটকদের এই বলে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু আশ্বস্ত করাই নয়, দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের ফেরার বন্দোবস্তও করলেন। জানিয়ে দিলেন, শিলিগুড়ি পর্যন্ত তাঁদের ফিরতে বাস ভাড়া দিতে হবে না। এছাড়া শুক্রবার ও শনিবার যেসব পর্যটক শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে কলকাতা ফিরবেন তাঁদেরও বাস ভাড়া লাগবে না।
এদিন সকাল থেকেই প্রতি ২ ঘণ্টায় শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার বাস ছাড়ছে। তাছাড়া দার্জিলিং থেকে পর্যটকদের নামিয়ে আনতে বাস ছাড়ছে সরকার। তবে বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবের পরই আতঙ্কিত পর্যটকরা শিলিগুড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেন। অনেকে তড়িঘড়ি নেমে আসতে মোটা টাকার গাড়ি ভাড়াও গোনেন। মওকা বুঝে শিলিগুড়ি পৌঁছে দিতে ১০ হাজার টাকাও ভাড়া হেঁকেছেন অনেক গাড়িচালক। এদিন ট্রেনে বা বাসে অনেকেই কলকাতাও ফেরেন। তাঁদেরও চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। দার্জিলিং থেকে শুক্রবার দিনভরই দলে দলে পর্যটক সমতলে নেমে এসেছেন। যা পরিস্থিতি সেখানে, ভিড়ে ঠাসা পাহাড় শনিবারের মধ্যে পর্যটকশূন্য হয়ে যাবে। যা হয়তো পাহাড়ের আমজনতার জন্য বড় একটা সুখের কথা নয়। ভরা মরসুমে পর্যটন অর্থনীতি তাঁদের দিক থেকে মুখ ফেরালে তাঁদের বছরটা চলবে কেমন করে তা ভেবে অনেকেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না। এদিকে এদিন পর্যটকদের ফেরার বন্দোবস্তের পাশাপাশি হাসপাতালে আহত পুলিশকর্মীদের দেখতেও যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকারের বলেও জানিয়ে দেন।