অনেক সহ্য করা হয়েছে। অনেক সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা হয়েছে। কিন্তু আর নয়। কোথাও গিয়ে সমঝোতাতেও ইতি টানতে হয়। শান্তির স্বার্থে আর আপস করবে না তাঁর সরকার। প্রশাসন তার নিজের পথে চলবে। এদিন দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ উষ্মার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি এখন প্রায়ই পাহাড়ে আসছেন, তাই কি এত রাগ? কিন্তু যে যা খুশি ভাবতে পারে। কারও ভাল লাগতে পারে। কারও নাও পারে। কিন্তু তিনি পাহাড়ে আসবেন। বারবার আসবেন। তাঁর ক্যালেন্ডারে পাহাড় আর জঙ্গলমহলে নিয়মিত যাতায়াত করার পরিকল্পনা লেখা আছে। এদিকে আগামী ১২ ও ১৩ জুন পাহাড়ের চা-বাগানে বন্ধ ডেকেছে চা-বাগান যৌথ সংগ্রাম কমিটি। সেই বন্ধকে শ্রম দিবস নষ্টের চেষ্টার চক্রান্ত বলে ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, বাম আমলে এইটাই হয়েছে। বন্ধ করে গেছে সিপিএম। কাজের কাজ কিছু করেনি। এই বন্ধকে তিনি বেআইনি ঘোষণা করবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে পাহাড়ে এখনও বহু পর্যটক রয়েছেন। তাঁরা যাতে নিশ্চিন্তে সমতলে নেমে আসতে পারেন সেজন্য রবিবার পর্যন্ত নিখরচায় পর্যটকদের শিলিগুড়ি পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত থাকছে বলে এদিন নিশ্চিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে জানিয়ে দেন কাশ্মীরের অবস্থা এখন খুব স্বাভাবিক নয়। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসছেন। পাহাড়ে পর্যটন একটা বড় ভরসা। মোর্চা যা করেছে সে ধরণের কার্যকলাপ পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসার ওপর প্রভাব ফেলবে।