শাসকের আচমকা হানায় যে কাজ হয় ফের একবার তার প্রমাণ মিলল। এদিন সকালে রাজ্যের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আলিপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পথে আচমকাই কালীঘাটের রামরিক দাস হরলালকা হাসপাতাল ও এলগিন রোডে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল পরিদর্শনে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা হানায় তখন হাসপাতালের কে কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। শম্ভুনাথ পণ্ডিতে ঢুকেই চটে যান মুখ্যমন্ত্রী। অনেক জায়গায় জঞ্জাল পড়ে থাকতে দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে। কথা বলেন মেয়রের সঙ্গেও। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচমকা হানার জন্য কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই প্রস্তুত ছিলেন না। ফলে আগেভাগে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখারও সুযোগ হয়নি। বাস্তব চিত্রটা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে পরিস্কার হয়ে যায়। এতে রোগী বা রোগীর আত্মীয়রা খুশি হলেও ঘুম ছুটে যায় কর্তৃপক্ষের। এদিকে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের জঞ্জাল সাফাই পিডব্লিউডি-র আওতাভুক্ত হলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জঞ্জাল সাফাই করে দেয় পুরসভাই। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে উধাও হয়ে যায় হাসপাতাল চত্বরের যাবতীয় আবর্জনা।