কখনও কুমিল্লার ছবি, কখনও সিনেমার ছবি দেখিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। সব খবর তাঁর কাছে আছে। যারা এসব করছে তারা রেহাই পাবে না। গোটা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। আর তাতে সব পরিস্কার করে সামনে আসবে। বসিরহাটের অশান্তিকে সামনে রেখে এদিন কার্যতই প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারবিভাগীয় তদন্তে যে ভুল প্রমাণিত হবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। এমনকি এদিন বেশ কয়েকটি মিডিয়াকেও উত্তেজনা ও গুজব ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় চাপান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু বসিরহাট বলেই নয়, উত্তপ্ত দার্জিলিং নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, পাহাড়ে অশান্তি প্রশমনে কেন্দ্রীয় সহযোগিতার সদিচ্ছা নিয়ে। তাঁর দাবি, দার্জিলিংয়ের ঘটনায় বিদেশি শক্তির মদত রয়েছে। আর তাতে মদত দিচ্ছে বিজেপি। কালিদাসের গাছের ডাল কাটার উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিজেপি ঠিক সেটাই করছে। তাঁর দাবি, পাহাড়ে অশান্তি জিইয়ে রেখে আমজনতাকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। পাহাড়ে যে সব নেতা ঝামেলা জিইয়ে রাখেন তাঁরা নেপাল বা সিকিম সীমান্ত থেকে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারদাবার সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। তাঁদের সেই সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু পাহাড়ের আমজনতা বন্ধ আর অশান্তির জেরে খাবার পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী এদিনও মোর্চাকে বন্ধের রাস্তা ছেড়ে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান। অন্যদিকে পাহাড়ের অশান্তি একমাস পূর্ণ করল শনিবার। এই একমাসেও কেন রাজ্য চেয়েও পর্যাপ্ত সংখ্যক সিআরপিএফ পেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানছে না। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ফোর্স চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পাশাপাশি হুঁশিয়ারির সুরেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এক নাসবন্দি ইন্দিরা সরকারকে ফেলে দিয়েছিল। আর বিজেপি সরকারকে ফেলবে নোটবন্দি। ২০১৯ নিয়ে বিজেপি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।