২১ জুলাই ১৯৯৩ সাল। তখনও জন্ম নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বেই যুব কংগ্রেসের ডাকে রাইটার্স অভিযানে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর। আহত হন ১ হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে প্রতি বছর এই দিনটায় শহিদ দিবস পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ২৪ বছর পূর্ণ করল সেই শহিদ দিবস।
এদিন ধর্মতলায় অগণিত মানুষের জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ২১ জুলাইয়ের ঘটনা নিয়ে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশনের রিপোর্ট তাঁদের হাতে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যে গুলি চলেছিল তা চক্রান্ত করেই করা হয়েছিল। কংগ্রেস কর্মীদের হত্যা করার চক্রান্ত ছিল। সেদিন যাঁরা মার খেয়েছিলেন পরে তাঁদের বিরুদ্ধেই পাল্টা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রিপোর্টে এঁদের মুক্তি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের পরামর্শ মেনে তাঁর সরকার সেইসব অভিযুক্তদের মুক্তি দিচ্ছে বলেও ঘোষণা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলেও আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে যারা সেদিন গুলি চালিয়েছিল তাদের শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন মঞ্চ থেকেই জানান, কমিশনের সুপারিশ মেনে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। এদের প্রত্যেককে শাস্তি পেতে হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২১ জুলাই যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারগুলির হাতে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা করে আগেই তুলে দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের চাকরিরও বন্দোবস্ত করে দেন। এদিন মঞ্চ থেকে তাঁর ঘোষণা এই পরিবারগুলিকে আরও ২ লক্ষ টাকা করে দেবে তাঁর সরকার।