দুর্গতদের পাশে আছে প্রশাসন। মানুষকে সবরকম সাহায্য করা হবে। এদিন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে এমনই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকায় কনভয় থামিয়ে দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। ঘুরে দেখেন বানভাসি এলাকাগুলি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এই বন্যা মানুষের তৈরি বন্যা। এবার বৃষ্টি বেশি হয়েছে। একথা মেনে নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন ডিভিসি জল ছাড়ার সময় কিছু জানায় না। তাদের অধিকাংশ জলাধারে ড্রেজিংয়ের অভাবে নাব্যতা কমেছে। ফলে জল দ্রুত বিপদসীমার ওপরে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান নদী সংস্কারের কাজও চলবে। নদীগুলির নাব্যতা বৃদ্ধি পেলে বন্যার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে বলে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও।
এদিকে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ আশপাশের এলাকা জলের তলায় চলে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঘাটাল। রাজ্যে বৃষ্টি কমলেও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, বীরভূমের অনেক জায়গা এখনও জলের তলায়। বহু মানুষ বানভাসি গ্রাম ছেড়ে ত্রাণশিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বহু জায়গায় সড়ক জলের তলায়। বিঘের পর বিঘে ফসল জলের তলায় হারিয়ে গেছে। যেখানে গ্রাম, চাষজমি ছিল। সেখানে এখন নৌকা চলছে। কবে জল নামবে তাও পরিস্কার নয়। ক্রমশ প্রকট হচ্ছে খাদ্য, পানীয় জলের সংকট। গোটা পরিস্থিতির দিকে রাজ্য সরকারি তরফে নজর রাখা হচ্ছে।
দুর্গত মানুষদের অভিযোগ, ফি বছর এমন অবস্থা হয় তাঁদের। তারপর বর্ষা কেটে যায়। সবাই সব ভুলে যায়। এমনভাবে চলতে থাকলে তাঁদের সমস্যার সুরাহা হবে কবে? সঙ্গে রয়েছে একরাশ আতঙ্ক। এখনও জুলাই পার করেনি! তাতেই এই অবস্থা। পড়ে আছে অগাস্ট, সেপ্টেম্বর। তাহলে তখন কী হবে!