১৮ বছর পর্যন্ত যে কন্যাশ্রীর সুবিধা মেয়েরা পেয়ে থাকে তা থাকছে। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুল, কলেজের গণ্ডি পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া ছাত্রীরাও। তাদেরও এবার কন্যাশ্রীর আওতাভুক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজ্ঞান বিভাগে ন্যুনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলেই মাসিক আড়াই হাজার টাকা করে পাবেন ছাত্রীরা। কলা বিভাগে ন্যুনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে মিলবে ২ হাজার টাকা করে। এছাড়া যেসব মেধাবী ছাত্রী গবেষণার কাজে বিদেশে যেতে চান তাঁদের ১০ জনের খরচ বহন করবেন অনাবাসী ভারতীয়রা। অনাবাসী ভারতীয়দের কয়েকজন তাঁকে নিজেরাই এসে এ বিষয়ে উৎসাহ দেখান বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই ১০ ছাত্রীর থাকা, খাওয়া, পড়াশোনার সব খরচ বহন করবেন অনাবাসী ভারতীয়রা।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের তরফে বিশ্বের জন পরিষেবা মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের শিরোপা পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় শুরু কন্যাশ্রী। বিশ্বের ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে পিছনে ফেলে এই মুকুট ওঠে রাজ্যের মাথায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এত বড় স্বীকৃতির পর এদিন ছাত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কন্যাশ্রীর তৃতীয় স্তরের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।