সোমবার রাজ্যের ৩ বানভাসি জেলা চষে বেড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন বন্যাপরিস্থিতি। বানভাসি মানুষদের কাছে পৌঁছে একজন অভিভাবকের মত শুনলেন তাঁদের অভাব অভিযোগ। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে মালদহের গৌরভবনে বন্যা কবলিত ৩ জেলা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিকদের পর্যাপ্ত ত্রাণের বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেন তিনি। বন্যার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারির চেষ্টা রুখতে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণের বন্দোবস্ত করেছে। ৪ লক্ষ ত্রিপল বিলি করা হয়েছে দুর্গত মানুষের মধ্যে। যেখানে যা যা প্রয়োজন, সবকিছু ত্রাণকর্মীরা পৌঁছে দিয়েছেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বন্যায় ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, প্রায় দেড় কোটি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এ পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যের ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে পরিসংখ্যান দেন মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাট ও অসম বন্যা মোকাবিলায় বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পেয়েছে কেন্দ্রের কাছ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি বাকি রাজ্যগুলির থেকে কোনও অংশে লঘু নয় দাবি করে খরচ হওয়া টাকা তিনি কেন্দ্রে কাছ থেকে দাবি করবেন বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এরই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন বিহারের পূর্ণিয়ায় বাঁধ ভেঙে দেওয়ার ফলেই উত্তরবঙ্গের বেহাল দশা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জলাধারের ড্রেজিং নিয়ে গাফিলতিকেও বন্যার অন্যতম কারণ হিসাবে দর্শান মুখ্যমন্ত্রী।