কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নয়। সেখানে রাজনীতি করবেন কেবল পড়ুয়ারা। এদিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বারবার বরিবাগতদের তাণ্ডবের কথা সমানে এসেছে। সেখানকার পড়ুয়া না হয়েও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা কলেজে ঢুকে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টিকে যে তিনি ভাল চোখে দেখছেন না তা এদিন মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে পরিস্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সুসম্পর্ক স্থাপনেরও ওপরও জোড় দেন তিনি। সামনের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের ভোটে লড়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুসলিম পরব মহরমকে সামনে রেখে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের একটা দিন কম করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এদিন সেই বিতর্ক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বিসর্জনের জন্য ৪ দিন বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে মহরমের জন্য একদিন বিসর্জন বাদ রাখা হলে এত আপত্তির কি আছে। তাঁর প্রশ্ন, মহারাষ্ট্রে গণেশ বিসর্জন আর মহরম একসঙ্গে পড়লে দুটো একসঙ্গে সামলাতে পারবে তো সেখানকার সরকার?
এদিন ফের নাম না করে বিজেপিকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আচ্ছে দিন থেকে রাম রহিম ইস্যুতে পাঁচকুলা সহ হরিয়ানা জুড়ে অশান্তি। একের পর এক প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯-এ বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও-এর স্লোগানও এদিন মঞ্চ থেকে ছুঁড়ে দেন তিনি।