ঝাড়গ্রামে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে আগাগোড়াই মুখ্যমন্ত্রীর রণংদেহী মূর্তি দেখলেন সাংসদ, বিধায়ক থেকে প্রশাসনিক হুজ হু-রা। ঝাড়গ্রামে কাজ এগোচ্ছে না। সমস্যার সমাধান হয়না। দিনের পর দিন কাজ পড়ে থাকে। প্রশাসনিক কাজে প্রচুর দুর্বলতা। কাজ না করার প্রবণতা। এগুলো যে তিনি মানতে পারেননা, তা বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য প্রয়োজনে আমলা হোন বা মন্ত্রী, কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। এদিনও করলেন না।
রাজ্যের নতুন জেলা ঝাড়গ্রামে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারের মুখে পড়লেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপারও। কেন তাঁরা সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কাজ না হলে তার দায় বিডিও-দের নিতে হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তবে এদিন রীতিমত নজর কেড়েছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতকে বকাবকি। মন্ত্রীর কাছে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, তিনি তো আগে কৃষিকাজ করতেন। এখন কি করেন? ঘরে না বসে থেকে মাঠে নেমে কাজ করার জন্যও চূড়ামণি মাহাতকে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। চূড়ামণি মাহাতর কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এতটাই অসন্তুষ্ট ছিলেন যে বৈঠকের পর তাঁকে ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেন।
বাংলা সড়ক যোজনার কাজের বেহাল দশা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যে প্রশাসনিক কর্তা থেকে মন্ত্রী, সকলের কাছেই কাজ চান, তা এদিন আরও একবার ঝাড়গ্রামে পরিস্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।